পীরগঞ্জে শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে দৈহিক সম্পর্কের অভিযোগ!

    0
    219

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৪জুন,গীতিগমন চন্দ্র রায়,পীরগঞ্জ(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি: ঠাকুরগায়ের পীরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে এক বিধবাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে বিয়ে করতে অস্বীকার করার অভিযোগে ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জে এক সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

    গত সোমবার রাতে যৌন নিপীড়নের শিকার ঐ বিধবার পিতা থানায় এ মামলা দায়ের করেনে। ঘটনা পর থেকে গাঢাকা দিয়েছে ঐ শিক্ষা অফিসার। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জ পৌর শহরের জগথা মহল্লার এক বিধবা ২০১৬ সালে উপজেলার নারায়নপুর গোয়ালপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখার শিক্ষার্থী হিসেবে সবুজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেন্যু কেন্দ্রে নবম শ্রেনীর ফাইনাল পরীক্ষায় আংশ নেয়।

    এসময় ঐ পরীক্ষা কেন্দ্রে পীরগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মুসা ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালন কালে সুদর্শন ঐ শিক্ষার্থীর উপর নজর পড়ে শিক্ষা অফিসার মুসার। মোবাইল ফোন নম্বর নিয়ে তার সাথে গড়ে তোলেন প্রেম সম্পর্ক। চলে চুটিয়ে প্রেম। বিয়ের প্রলোভনে গড়ে তোলেন দৈহিক সম্পর্ক।

    গত ৫ জুন মুসা তার প্রেমিকাকে নিয়ে যান নিজ বাড়ি হরিপুরের বীড়গড়ে। সেখানে তাকে দু’দিন রাখেন। এরপর মুসার আগের স্ত্রী বাড়িতে আসলে দেখা দেয় বিপত্তি। অবস্থা বেগতিক দেখে মুসা প্রেমিকাকে পাঠিয়ে দেন বোনের বাড়িতে। সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করে মুসার প্রেমিকা। এরই মধ্যে পারিবারিক চাপে মুসা তার প্রেমিকাকে বিয়ে করতে আপত্তি জানায়।

    বিষয়টি গড়ায় থানা পুলিশ পর্যন্ত। অবশেষে গত রোববার হরিপুর থানা পুলিশ মুসার বোনের বাড়ি থেকে তার প্রেমিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আটক করে তার ভগ্নিপতিকে। এ নিয়ে চলে দেন দরবার। সুরাহা না হওয়ায় পরে নির্যাতিতার পিতা বাদী হয়ে মুসা সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

    মামলা রুজুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পীরগঞ্জ থানার ওসি আমিরুজ্জামান বলেন, মামলা হয়েছে। মুল আসামী মুসা পলাতক রয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।এ নিয়ে পীরগঞ্জ উপজেলায় এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।