পীরগঞ্জে ড্রেজার মেশিনে খনন মন্দির ধংসের মুখে

    0
    237
    স্টাফ রিপোর্টারঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মন্দিরের পিছনে কৃষিজমিতে চলছে অবাধে পুকুর খনন কাজ। সরেজমিনে দেখা যায় পুকুর খননে কৃষির ধ্বংসযজ্ঞ চললেও প্রশাসন যেন কিছুই দেখছে না। নামমাত্র কিছু অভিযান চালালেও প্রভাবশালীরা থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে পীরগঞ্জ উপজেলার ১নং ভোমরাদহ ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডে দুবড়া গ্রামে উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডে দুবড়া এলাকার মন্দিরের পাশেই প্রভাবশালী ব্যাক্তি একটি ড্রেজার মেশিন দেদারসে পুকুর খনন করতে থাকে সেই জমির মালিক স্থানীয় রিয়াজুল ইসলাম নামে পরিচিত উক্ত এলাকায় রিয়াজুলের বেশ কয়েক বিঘা জমি রয়েছে।
    পুকুর খনন করলে ভবিষ্যতে সনাতন ধর্শাবলম্বীদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তবুও তারেই পাশে অবৈধভাবে অবাধে তিনি পুকুর খনন কাজ করে যাচ্ছেন বিনাদ্বিধায়।
    জানা যায় দুবড়া মৌজার ধাম মন্দির ও অতি প্রাচিন কালের পাখোর ও নাখিজা গাছ ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করছেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দেয়া হয়েছে। দুবড়া মৌজার জন সাধারণ বলেন এলাকায় নিন্ম তপশীল বর্ণিত দেবত্র রেকর্ডকৃত খাস জমিতে দীর্ঘ দিন যাবত অতি প্রাচীন কালের যৌথ গাছ ২ টির নিচে বিভিন্ন দেবতার বেদী তৈরী করে প্রাচীন কাল হইতে অদ্যবধি পুজা পার্বনসহ হিন্দু ধর্মের অনুষ্ঠান করে থাকেন।
    প্রকাশ থাকে যে গত ২০১৭ – ২০১৮ অর্থ বছরে ঠাকুরগাঁও জেরা পরিষদ কৃর্তৃক প্রাপ্ত অর্থ দ্বারা ১টি শীব মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু দেবত্র মন্দিরের উত্তর পার্শ্বে যার দাগ নং ৩১৪, এই দাগে রিয়াজুল ইসলাম কযেক বছর ধরে উক্ত দাগে টরী দ্বারা মাটি কেটে গভির গর্ত করেছেন। এছাড়াও তিনি গত ০৫/ ০৬ / ২০২০ইং উক্ত গর্তে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে গভীর গর্ত করছেন।
    এতে প্রাচীন কালের জোড়া গাছ২টি দেবত্র স্হানের বেদীও শীব মন্দির ঐ গভীর গর্তে ধ্বসে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা. তাছাড়া মন্দিরসহ গাছ ২টু ঝুঁকিপুর্ন অবস্থায় অাছে। এই বিষয়ে রিয়াজুল ইসলাম কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি জানান আমি পুকুর খনন হলে মাছের চাষ করবো। আমার জমি যা ইচ্ছে করবো, মন্দির থাক বা না থাক সেটা আমার দেখার বিষয় না,এখানে  যদি প্রশাসন এসে সিমানা নির্ধাণ করে দেয় তহলে সমস্যা নাই মন্দির কোনো ক্ষতি হবেনা, তবে এলাকাবাসী সাথে
    সরেজমিনে দেখা যায়, উক্ত দেবত্র বেদী শিব মন্দিরসহ গাছ ২টি ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মন্দির কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বর্তমানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পুকুর খনন কাজ বন্ধ রয়েছে।