পীরগঞ্জের এক বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তার মেয়েকে ব্যাপক মারপিট

    0
    235

    ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক ছাড়া ঘরে তুলবেন না শ্বশুরবাড়ীর লোকজন

    গীতি গমন চন্দ্র রায়,পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মোঃ হাফিজুর রহমান বীরমুক্তি যোদ্ধার মেয়েকে ৫লক্ষ টাকা যৌতুক ছাড়া ঘরে তুলছেন না বিলকিস বেগমের শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন।

    এই বিষয়ে গত শুক্রবার বিলকিস বেগমের পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে গত ২৭/০৭/২০১৮ইং তারিখে ১। মোঃ করিমুল ইসলাম (৩৮), ২। মোঃ আঃ রহমান (৪০), উভয়ের পিতা- মোঃ আঃ লতিফ, ৩। মোছাঃ খতেজা বেওয়া (৫৮), স্বামী- মৃত আঃ লতিফ, ৪। জবাতুন খাতুন (৩৫), স্বামী- মোঃ আঃ রাহমান, ৫। মোছাঃ রহিমা খাতুন (২২), পিতা- মোঃ আঃ রহমান, ৬। নেন্দ দাই (৫৫), পিতা- মৃত টুনু দাই, সর্ব সাং একান্নপুর (বাগান বাড়ী) আসামি দ¦য়ের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।

    এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিলকিস বেগমের বিয়ে হয় পীরগঞ্জ উপজেলার একান্নপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে করিমুল ইসলামের সাথে ১৩/১৪ বছর সংসার জীবনে একটি কন্যা সন্তান ও একটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহন করে করিমুলে ১ম সন্তান মোঃ বিদ্যুৎ হোসেন (১২) প ম শ্রেণি একান্নপুর কেজি স্কুল এবং মেয়ে মোছাঃ কাসমিরা আক্তার (৭) বোর্ডহাট সোনামনি কিন্ডারগাডেনে পড়ে। করিমুল মেয়ে লোভী হওয়াতে তাদের সংসারে অশান্তি লেগে থাকতো। ১নং আসামী করিমুল গভীর রাতে বাড়ীতে এসে আমার কন্যাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। আমার মেয়ে গভীর রাতে আসার কথা জিজ্ঞাসা করলে করিমুল আমার কন্যাকে হত্যার উদ্দ্যেশে মুখে বালিশ চাপা দেয় এবং ঘরে থাকা লোহার রড ও বাশেঁর লাঠি দিয়ে আমার কন্যাকে বেধম মারপিট করে।

    পরে অনান্য আসামীদের কুবুদ্ধিতে করিমুল ইসলাম আমার কন্যাকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে মারপিট করে বাড়ি থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বেড় করে দেয় এবং গোপনে একটি বিয়ে করার কারণে পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে উভয়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। অনুমানিক ২-৩ মাস পরে ১ নং আস্বামী করিমুল আমার কন্যার সহিত সুকৌশলে যোগাযোগ করে আমার কন্যাকে বিভিন্ন প্রলোভনে ফেলে আবার বিবাহ করে এবং বাড়িতে নিয়ে যায়।

    পরে স্থানীয় লোকজন ও ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার করিমুলকে বিবাহটি কাবিননামা হিসাবে রেজিষ্ট্রি করার কথা বলিলে সে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করে। এরই এক পর্যায় গত ২৬শে জুলাই, ২০১৮ ইং তারিখে তার শ্বশুড়বাড়ীর লোকজন যৌতুক হিসেবে ৫ লক্ষ যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়ে বিলকিস বেগমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে তাকে বেধম মারপিট করিতে থাকে এবং আহত অবস্থায় তার বড় বোন মোছাঃ লাকি বেগমকে মুঠো ফোনে বিষয়টি অবগত করলে ও বিলকিস বেগমের চিৎকারে আমি, আমার বড় মেয়ে, আমার ছেলেসহ এলাকাবাসীরা দ্রুত ছুটে এসে লাকী বেগমকে আহত অবস্থায় উদ্ধার তাকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন বলে বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, আমাকেও তারা মারধর করে আমিও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই।

    এ ব্যাপারে ৭নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, মেয়েটি করিমুলের বাড়িতে ছিল আমাকে কেউ জানায় নি, করিমুল মেয়েটিকে তালাক দেওয়ার পর আবার বাড়িতে নিয়ে আসলেন এটি নিঃসন্দেহে খারাপ কাজ। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ বজলুর রশিদ জানান, এজাহারের কাগজ পেয়েছি তবে দুই পক্ষে মিমাংসা হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে।