জহিরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: দ্বিতীয় ধাপের বন্যায় সিলেট রেলওয়ে ষ্টেশনে পানি প্রবেশ করার কারনে গত শনিবার ১৮ জুন দুপুরের দিকে সকল প্রকার ট্রেন প্রবেশ, যাত্রী সেবা ও চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
সিলেট ষ্টেশনে আজ ১৯ জুন সকাল থেকে ষ্টেশন থেকে বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ায় তাই আজ থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রবিবার ১৯ জুন সকালে ঢাকা ছেড়ে আসা পারাবত ও চট্টগ্রাম থেকে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সিলেট ষ্টেশনে প্রবেশ করলো।রাত ১১ টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কালনী এক্সপ্রেস প্রবেশ করার কথা রয়েছে।
গতকাল শনিবার ১৮ জুন সকাল ১০ টার দিকে বন্যার পানি পুরো প্ল্যাটফর্মে উঠলে মাইজগাঁও ষ্টেশনে থামিয়ে রাখা হয় সিলেট গামী পারাবর এক্সপ্রেস। এর আগে গতকাল সকাল ৬.১৫ মিনিটে ঢাকাগামী কালনী ও ১১ টা ১৫ মিনিটের দিকে জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস বন্যার পানি পুরো প্রবেশ করার আগে ষ্টেশন ত্যাগ করে। পরে চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেসকে দ্রুত সিলেট ষ্টেশন থেকে কুলাউড়া জংশনে নিয়ে আসা হয়।
তিনটি ষ্টেশন জরুরী ভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়,এগুলো হলো সিলেট ও ঢাকা রুটে মোঘলা বাজার ষ্টেশন সুরমা মেইল ট্রেন, মালবাহি ট্রেন , মাইজগাঁও তে কালনী, জয়ন্তীকা, পারাবত, উপবন আসা যাওয়ার । চট্টগ্রাম রুটের ট্রেন , উদয়ন, পাহাড়িকা এক্সপ্রেস কুলাউড়া ষ্টেশনে ভাগ করে দেওয়া হয়। আজ দুপুরে৷ পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট ষ্টেশনে প্রবেশ করলো পারাবত এক্সপ্রেস ।যাত্রী সেবা চালু সিলেট ষ্টেশনে।
মাইজগাঁও ষ্টেশনে এসে থেমে যায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পারাবত পরে আবার নির্ধারিত সময়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিকাল ৪ টায় মাইজগাঁও থেকে ছেড়ে যায়।
গতকাল ১৮ জুন রাত থেকে সিলেট ষ্টেশনে বন্যার পানি কমতে শুরু করাতে আজ ১৯ জুন পারাবর প্রায় ১ টার দিকে সিলেট ষ্টেশনে প্রবেশ করে। বিকালে প্রবেশ করলো সিলেট গামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস এবং আজ রাত ১১ টার দিকে কালনী এক্সপ্রেস প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল ষ্টেশনের ভারপ্রাপ্ত ষ্টেশন শাখাওয়াত হোসেন।