পাটকল শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল

    0
    233

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১জানুয়ারীঃ পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ, মজুরী কমিশন ঘোষনা, মহার্ঘভাতা পরিশোধ, পিএফ ফান্ডের টাকা ফেরত, ন্যায়সঙ্গত ১১ দফা দাবী এবং পাটকল শ্রমিকদের ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল

    পাট বাঁচাও, পাট শিল্প বাঁচাও, পাটকল শ্রমিকদের ওয়েজ কমিশন বাস্তবায়ন কর, শ্রমিকদের ১১ সপ্তাহের মজুরী পরিশোধ কর –পিএফ ফান্ডের লভ্যাংশের দাবীতে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন এর উদ্যোগে আজ ১লা জানুয়ারী, সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে পাটকল শ্রমিক লাল পতাকা সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে হাইকোর্ট, তোপখানা রোড, পল্টন প্রদক্ষিন করে তোপখানা রোডে এসে শেষ হয়। মিছিলে শতাধিক পাটকল শ্রমিক লাল পতাকা হাতে অংশ গ্রহণ করে।
    জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী সভাপতি শ্রমিক নেতা কামরূল আহসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে মূল বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জনাব আমিরুল হ্ক আমিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জনাব এম দেলোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক জনাব কামরুল হাসান, করিম জুট মিল লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জনাব আবুল হোসেন, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মিসেস আরিফা আক্তার, শাহানা ফেরদৌসী লাকী, ফেডারেশনের সদস্য এম এ গনি এবং সদস্য সচিব ঢাকা মহনগর আব্দুলা আল মামুন প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
    সংহতি জ্ঞাপন করেন : যুবমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জনাব সাইফুল ইসলাম তপন এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটি ঢাকা মহানগরের সাধারন সম্পাদক জনাব কিশোর রায়।
    বক্তারা বলেন, বাংলার সোনালী আঁশ ‘‘পাট ’’ বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশে ধ্বংস প্রায়, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতে চলছে সুন্দর ভাবে। অবশিষ্ট পাট শিল্পকে নিয়েও চলছে নানা তুগলকি কান্ড কারখানা। প্রধানমন্ত্রী  পাট শিল্পের জন্য বরাদ্ধ করেছেন ৬ হাজার কোটি টাকা, শ্রমিকদের সপ্তাহে সপ্তাহে দেয়া মজুরী ৯ থেকে ১১ সপ্তাহ বাকি। মিলগুলোর কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের পে কমিশনের আওতায় বেতন বৃদ্ধি এবং কার্যকর হয়েছে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে, অথচ উৎপাদনকারী শ্রমিকদের ওয়েজ কমিশন এখনও বাস্তবায়ন করা হয় নাই—পে কমিশন এবং ওয়েজ কমিশন পাকিস্তান আমল থেকেই করা হয় এক সাথে। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে ঘোষিত ২০% মহার্ঘভাতা  সমুদ্বয় পরিশোধ করা হয় নাই। শ্রমিক কর্মচারীদের জমানো পিএফ ফান্ডের কোটি কোটি টাকা কর্তৃপক্ষ তাদের ফান্ডে জমা করেছে। অথচ শ্রমিকেরা প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা এবং লভ্যাংশ পাচ্ছে না। পাটের এই ভরা মৌসুমে পাট ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ নাই, অথচ পাট কেনা হবে পরে কয়েকগুন বেশি দামে আড়ৎদারদের কাছ থেকে।
    অবিলম্বে পাটকল শ্রমিকদের  ১১ দফা দাবী ঘোষনা ও বাস্তবায়নের জন্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি  জোর দাবী জানান।
    ১১ দফা দাবীতে সারা দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলে আন্দোলন চালাচ্ছে শ্রমিকেরা, আগামীকাল ২ জানুয়ারী সকল পাটকলে ২৪ ঘন্টা ধর্মঘট সফল করার আহবান জানান।প্রেস বার্তা