পাগলীর নিষ্পাপ সন্তানের বাবা কে? খুঁজছে সুনামগঞ্জের পুলিশ

    0
    237
    তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ যার নিজেরেই নেই কোন ভাল মন্দ বুজার ক্ষমতা,নেই জ্ঞান। যে কি না সারাদিন এখানে ওখানে ঘুরে বেড়ায় বিচ্ছিন্ন ভাবে বাজারের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যে যা দেয় খেয়ে না খেয়ে চলছে মানব দেহের ভিতর জীবনটা। সেই ৩০ বছর এক পাগলির সাথে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরী করে তার গর্ভে সন্তান ধারণ করিয়েছে কে সেই লোক প্রশ্নের উত্তর মিলছে না কোথাও। তাই এই প্রশ্নের উত্তর মেলাতে সেই বাবাকেই এখন হন্যে হয়ে খোঁজছে তাহিরপুর থানা পুলিশ।
    বৃহস্পতিবার সকালে জেলা তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজারের বাদামপট্রিতে ফুটফুটে একটি মেয়ে সন্তান ভূমিষ্ট হয়েছে এক পাগলীর। শুধু আজেই নয় এই পাগলী তিন বছর পূর্বে আরেকটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছে। পাগলিনী মা তিন বছরের ব্যবধানে পর পর দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে পৃথিবীর আলো দেখালেও সেই সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের কোন হদিস মিলছে না। এনিয়ে যেন কারো মাথা ব্যাথা নেই। বাবা ছাড়া সন্তান হতে পারে না কেউ না কেউ তার সাথে অনৈতিক সর্ম্পকে জড়িয়েছে। যার ফলে এই সন্তান। আর কে করেছে এমন কাজ এনিয়ে উপজেলা জুড়ে তুলপার শুরু হয়েছে।
    এই খবর পেয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যনার্জি খোঁজখবর নেন। পরে তিনি পাগলিনীর শিশু কন্যার পিতৃ পরিচয় খুঁজে বের করতে থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেন।
    জানাযায়,উপজেলার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাদাঘাট বাজারে বাদাম পট্টিতে র্দীঘ দিন ধরে ভবগুরে ভাবে বাজারে অবস্থান করে আসছিল। এক প্রর্য়ায়ে প্রায় ৩০বছর বয়সী ঐ পাগলী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় উপজেলার বাদাঘাট বাজারের পরিচ্ছন্ন কর্মী হাফিজ উদ্দিনের তত্বাবধানে রেখে তার বাড়িতে থেকে পাগলিনী ফুটফুটে এক শিশু কন্যা প্রসব করেন। আর এই ডেলিভারির কাজটি করেন রাবেয়া বেগম।
    পরে নানান জনের নানান কথায় রাবেয়া বেগম ও পরিচ্ছন্ন কর্মী হাফিজ বিকাল সাড়ে ৩টার উপজেলার বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির মাধ্যমে মা ও নবজাতক শিশু কন্যাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবার জন্য নিয়ে যায়।
    পাগলী ও বাচ্চাসহ তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শিশুটি সুস্থ থাকলেও পাগলী মা কিছুটা অসুস্থ থাকলেও চিকিৎসাসেবার পর আপাতত মা ও নবজাতক শিশু কন্যা ভাল আছেন বলে জানান কতর্ব্যরত গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিলুফার ইয়াসমিন।
    রাবেয়া বেগম জানান,ঐপাগলীর এর পূর্বে লাবিবা(৩ বছর)নামে মেয়ে রয়েছে। এই মেয়েটি একই ভাবে ভূমিষ্ট হলে আমি নিঃসন্তান হওয়ায় আমার নিজের মেয়ের মত করে নিজ দায়িত্বে ভরনপোষণ করে বড় করছি। এই শিশুটিকে আমিই নিতে চাই। কারন আগের শিশুটি আমাকেই মা বলে জানে।
    বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মাসুক মিয়া বলেন,যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা আমাদের সবাইকে খুব লজ্জার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আতিকুর রহমান এঘটনায় সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,কিছু দিনের জন্য রাবেয়া বেগম কাছে সদ্য ভুমিষ্ট ঐ শিশু কন্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কারন এর আগে জন্ম নেওয়া শিশুটি তার কাছেই বড় হচ্ছে। এরপরও সবার সাথে কথা বলে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি করা যায়।
    এছাড়াও এ নবজাতক শিশু কন্যার পিতৃ পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশী তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ওসি।