পরিমণিগং চলচ্চিত্রের আড়ালে অবৈধ ব্যবসা করতেনঃযুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ

0
630
পরিমণিগং চলচ্চিত্রের আড়ালে অবৈধ ব্যবসা করতেনঃযুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ

নুরুজ্জামান ফারুকী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ চলচ্চিত্রের আড়ালে অবৈধ ব্যবসা করতেন চিত্রনায়িকা পরিমণি ও তার সহযোগীরা এমন তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, পরীমণির অন্যতম সহযোগী এক নারী ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকে শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট ২০২১) বেলা সোয়া ২টার দিকে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ের সামনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।

কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, পরীমণি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতেন, সেগুলো কাদেরকে নিয়ে করতো, কাদের সহযোগিতায় করতো, কারা তার নেপথ্যে রয়েছে, আমরা তাদের নাম পেয়েছি। তার বক্তব্য নোট করছি। যারাই তার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদেরই গ্রেফতার করা হবে।
ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, যারা মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে, তারা এবাং তাদের সন্তানরাই খারাপ কাজে লিপ্ত। যারা এই কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অবৈধ ও অনৈতিক ব্যবসার হোতা প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিষয়ে তিনি বলেন, রাজ একজন লেখাপড়া না জানা মানুষ। সে ছোট্ট একটা চাকরি করতো। বিভিন্ন মডেলকে নিয়ে সে ঘরোয়া পার্টি করতো। উচ্চবিত্তদের মডেল সাপ্লাই দিতো। তার কাছ থেকেও আমরা অনেক গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য পেয়েছি। সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।
গত বুধবার (৪ আগস্ট ২০২১) সন্ধ্যায় বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে আটক করা হয়। এসময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয় বলে জানায় র‌্যাব।

পরদিন বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) এক প্রেসব্রিফিংয়ে র‍্যাব জানায়, পরীমণির বাসায় একটা মিনি বার ছিল। তার বাসায় নিয়মিত পার্টি হতো। সেই পার্টিতে মদসহ সব ধরনের মাদক সাপ্লাই দিতো নজরুল ইসলাম রাজ। রাজের নেতৃত্বে একটা সিন্ডিকেট ছিল, যাদের কাজই হলো উঠতি বয়সী তরুণীদের দিয়ে নানারকম অপকর্ম করানো। পরীমণিকে আটকের আগেরদিন মঙ্গলবার মিশুক ও জিসান নামে দুজনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরীমনি ও রাজের বাসায় অভিযান চালানো হয়। পরীমণি ও রাজসহ গ্রেফতার চারজনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদকের দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দুটিতে চার আসামি ৪ দিন করে রিমান্ডে রয়েছেন।