নড়াইল-ফুলতলা সড়কের বেহাল অবস্থা,ঈদ যাত্রীদের ভোগান্তি

    0
    203

    নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইল-ফুলতলা সড়কের ২৮কিঃ মিটারের মধ্যে প্রায় ১৭ কিঃমিঃ সড়ক চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ জায়গার কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্ত হয়েছে। রাস্তার সংস্কার না করে প্রায় ৩কিঃমিঃ ইটের সোলিং বোনা হয়েছে। আধা ঘন্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে এক ঘন্টার বেশী। ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার ঈদ যাত্রী ভোগান্তি পোহাতে শুরু করেছে। নির্ধারিত সময়ে এ সড়কের ২ লেন বিশিষ্ট রাস্তার নির্মান কাজ শুরু না হওয়ায় এ ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
    জানা গেছে, নড়াইল-গোবরা-খুলনার ফুলতলা সড়কটি এ অঞ্চলের একটি পুরোনো এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। খুলনার সাথে যোগাযাগ স্থাপনের জন্য নড়াইলবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এ সড়কটি নির্মানের। এরই প্রেক্ষিতে জেলা মহাসড়কে যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পে সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় এ সড়কে ২৮কিঃমিঃ ২ লেন বিশিষ্ট রাস্তা, ১টি সেতু এবং ১৯টি কালবার্টের নির্মান কাজের টেন্ডার সম্পন্ন হয় গত বছরের নভেম্বর মাসে। ১শ ১৭কোটি ৮৮লাখ ৫৭ হাজার টাকা ব্যয়ে বৃহত্তর এ প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও সম্প্রতি কাজের ওয়ার্ক ওর্ডার দেওয়া হয়েছে।
    সিঙ্গাশোলপুর গ্রামের মলয় সাহা এবং গোবরার পিযুষ বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের সংস্কার কাজ হয়না। আর মাঝে মধ্যে সংস্কার কাজ হলেও এ কাজ বেশী দিন স্থায়ীত্ব হয়না। সবচেয়ে বেশী খারাপ এ সড়কের কাড়ার বিল, বড়েন্দার, কলোড়া, গোবরা, বড়কুলা, মির্জাপুর, রুখালি এবং চাকই। প্রতিদিন যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন বাহনে হাজার হাজার মানুষ কষ্ট স্বীকার করে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে।
    নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৗশলী মোঃ ফরিদ উদ্দীন জানান, ঈদের পূর্বে এ সড়কের ভাঙ্গাচোরা ও গর্ত বন্ধ করতে কিছু রুটিং ওয়ার্ক( সামান্য কিছু কাজ) করা হবে। এ সড়কের ২৮কিঃমিঃ কাজের ওয়ার্ক ওর্ডার সম্পন্ধসঢ়; হয়েছে। খুব শিগ্রই
    এ সড়কের নির্মান কাজ শুরু হবে।
    এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মোঃ মাঈনুদ্দীন বাঁশি বলেন, দেড় মাস পূর্বে সেতু ও কালবার্ট এবং এক সপ্তাহ পূর্বে সড়কের কাজের ওয়ার্ক পেয়েছি। ঈদুল ফিতরের পর প্রথমে সেতু ও কালবার্টের কাজ শুরু হবে। সামনে বর্ষার কারনে রাস্তার কাজ শুস্ক মৌসুমে হাত দেয়া হবে। ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে সামগ্রিক নির্মান কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
    এ প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সড়ক ও জনপথ বিভাগ যশোর সার্কেল অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ সুরুজ মিয়া বলেন, এ সড়কের কাজের ওয়ার্ক ওর্ডার দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। মন্ত্রী অসুস্থ থাকায় ওয়ার্ক ওর্ডার দিতে দেরী হয়েছে বলে জানান।