নড়াইলে প্রেমিককে গাছে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণ

    0
    248

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২০জুন,নড়াইল  প্রতিনিধিঃ  নড়াইল সদরের হবখালী ইউনিয়নের সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে প্রেমিককে গাছের সাথে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২০ জুন) দুপুরে এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনাম আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে নড়াইল সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলো হবখালী ইউনিয়নের সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামের আজাদ মিনার ছেলে রফিকুল মিনা , হালিম মিনার ছেলে শাহজালাল মিনা  ও আজগর মিনার ছেলে মাসুম মিনা ।

    মামলার বিবরণে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৯ জুন) রাতে হবখালী ইউনিয়নের  ডাঙ্গা সিঙ্গিয়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যা (বয়স ১৬ বছর) তার প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে যশোর থেকে নড়াইল শহর হয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলো । পথিমধ্যে নড়াইলের হবখালী আদর্শ কলেজ এলাকায় অটোবাইক থেকে নেমে যায় তারা।

    রাত ৯টার দিকে মাসুমের দোকানের কাছে পৌঁছালে ৮-৯ জন যুবক তাদের (প্রেমিক-প্রেমিকা) পথরোধ করে। এসময় প্রেমিক-প্রেমিকাকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নেয়ার কথা বলে তাদের হবখালী বাজারের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ওই সকল যুবকেরা।

    এক পর্যায়ে অভিযুক্ত রফিকুল মিনা, শাহজালাল মিনা ও মাসুম মিনা সহ অন্যান্যরা হবখালী কলেজ এলাকায় প্রেমিককে গাছের সাথে বেঁধে রেখে প্রেমিকাকে (৮ম শ্রেণীর ছাত্রী) পাটক্ষেতে নিয়ে গণধর্ষণ করে। গণধর্ষণের পর আসামিরা হুমকি দেয়-বিষয়টি কাউকে জানালে তারা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে গণধর্ষণের পর মেয়েটি অসুস্থ হলে পড়লে অভিযুক্ত যুবকেরা তাকে (মেয়েটি) ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। রাত ১২টার দিকে প্রেমিকসহ স্থানীয় তিনজন  ভূক্তভোগী মেয়েটিকে উদ্ধার করে সুবুদ্ধিডাঙ্গা গ্রামে শাকিলের বাড়িতে নিয়ে যান।

    খবর পেয়ে নড়াইল সদর থানা  পুলিশ প্রেমিক-প্রেমিকাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর থানায় নিয়ে আসে।

    জানা গেছে,ভূক্তভোগী মেয়েটির বাবা মায়ের মধ্যে দাম্পত্য বিরোধের কারনে বিচ্ছেদ হওয়ায় উভয়েই অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করছে। যার কারনে অসহায় এই মেয়েটি পাশ্ববর্তী লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের ব্রাক্ষণীনগর গ্রামে নানাবাড়িতে বসবাস করে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে পড়ালেখা করছে।

    বুধবার দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।