নড়াইলে উপজেলা প্রার্থিদের সংঘর্ষ,আহত-২০,পুলিশের গুলি

    0
    238

    নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়া উপজের নওয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকা ও আনারস প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের কালিয়া ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এসময় ১৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি বর্ষন করে পুলিশ। রোববার ১২টার দিকে এঘটনা ঘটে। এসময় প্রায় একঘন্টা ভোট গ্রহন বন্ধ থাকে।
    জানা গেছে, কালিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী কৃষ্ণপদ ঘোষ (নৌকার) এজেন্ট খায়রুল ইসলাম এর সাথে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম হারুনার রশিদ (আনরস) প্রার্থীর এজেন্ট ইকবাল হোসেনের মধ্যে কথাকাটাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০জন এসময় আহত হয়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ১৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি বর্ষন করে।
    নওয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমীক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বিষ্ণুপদ দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এসময় ৪৫ মিনিট ভোট গ্রহন বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি স্বভাবিক হলে পুনরায় ভোট গ্রহন শুরু হয়।
    পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে পুলিশ ১৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি বর্ষন করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।
    স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুনার রশীদ বলেন, ‘ আমার এজেন্টকে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে নৌকার পক্ষের লোকজন। তখন বিরোধের সৃষ্টি হয়।
    তবে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী কৃষ্ণ চন্দ্র ঘোষকে একাধিকবার মোবাইল ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
    নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহণের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না।’