নড়াইলের লোহাগড়া হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

    0
    249

    নড়াইল প্রতিনিধি: আজ (৮ ডিসেম্বর) নড়াইলের লোহাগড়া থানা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে ৮ নং সেক্টরের অধীনে লোহাগড়ার মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে লোহাগড়া থানাকে পাক হানাদার মুক্ত করেন বীরযোদ্ধারা। সেদিন উড়িয়ে ছিলেন বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা। হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লোহাগড়া উপজেলা কমান্ডের আয়োজনে রবিবার সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্বরে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধার পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, লোহাগড়া থানা চত্বরে মুক্তিযোদ্ধার কবর জিয়ারত, বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    এসব কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন নড়াইল জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা।
    লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্রের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা,
    উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হামিদ, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মসিউর রহমান সহ বীরমুক্তি ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
    এছাড়া গণভোজ, দোয়া অনুুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে লোহাগড়া মুক্ত দিবস পালিত হচ্ছে।

    ৮ডিসেম্বর ফজরের আযানের পর ভোর ৫টার দিকে তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ ইউনুস আলী, লোহাগড়া থানা মুজিব বাহিনীর প্রধান সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম শরীফ খসরুজ্জামান, আবুল হোসেন খোকন, কবির হোসেনের নেতৃত্বে দু’শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে গেরিলা কায়দায় পশ্চিম দিক দিয়ে থানা আক্রমন করেন।

    মুক্তিযোদ্ধাদের পরিকল্পিত আক্রমণে পাক বাহিনীর রেঞ্জার সদস্যরা হতভম্ব হয়ে পড়েন।
    এ সময় থানায় অবস্থানরত রেঞ্জার বাহিনীর সদস্যরা অস্ত্র গোলাবারুদ ফেলে থানার পূর্ব দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা ও পাক বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ।

    পাঁচঘন্টা ব্যাপী যুদ্ধ চলাকালে থানা অভ্যন্তরে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন লোহাগড়া উপজেলার কোলা গ্রামের হাবিবুর রহমান ও যশোর সদর উপজেলার জঙ্গল-বাঁধাল গ্রামের মোস্তফা কামাল। হাবিবুর রহমানকে থানা অভ্যন্তরে ও মোস্তফা কামালকে ইতনা স্কুল এ্যান্ড কলেজ চত্বরে দাফন করা হয়।