নড়াইলের লোহাগড়ার আমাদা গ্রাম আবারও অশান্ত

    0
    243

    নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের আমাদা গ্রাম আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে। শুক্রবার (৫এপ্রিল) সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক গ্রুপের নেতা অহিদুর রহমান খান (৬৫) কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষ। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতাল পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
    গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় আমাদা গ্রামোর আলী আহম্মেদ খান গ্রুপের আপন ছোট ভাই অহিদুর রহমান খান আতœীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে আমাদা সরকারি দাখিল মাদ্রাসার কাছে আসলে প্রতিপক্ষ কাশেম খান গ্রুপের ৩০-৩৫ জন লোকজন তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তার অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
    জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লোহাগড়া উপজেলার আমাদা ও পার্শ্ববর্তী সদরের কামাল প্রতাপ গ্রামে দেশ স্বাধীনের পর থেকে আলী আহম্মেদ খান এবং কাশেম খান গ্রুপের মধ্যে বংশগত দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছে। গত ৪৬ বছরে দু’গ্রুপের ৪জন নিহত এবং ৫জন স্থায়ী পংগুত্বসহ এক হাজারের বেশী নারী-পুরুষ-শিশু আহত হয়েছে। গত ২০১৮ সালে ৬ বার সংঘর্ষে আমাদা ও কামালপ্রতাপ গ্রামে ৯০টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রন করতে গিয়ে আহত হয় ৪ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪জন পুলিশ সদস্য। দু’পক্ষের ৭টি মামলায় ১শ৮৭ জনকে আসামি করা হয়।
    পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম জানান, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে দু’পক্ষের দু নেতা আবুল কাশেম খানসহ ও আলী আহম্মেদ খান আমাকে কথা দেয় তারা আর সংঘর্ষে লিপ্ত হবে না। কিন্তু তারা কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তাদের সাথে পূনরায় কথা হয়েছে। এলাকার শান্তি শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে স্থায়ী বিরোধ মিমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত বলে জানান।