নিরাপত্তাহীনতার কারণে প্রেসক্লাবের পরিবর্তে থানার সামনে দায়িত্ব পালন করছে

    0
    280

    কুষ্টিয়া, ১২ আগস্ট :থানা থেকে মাত্র ৫০গজ দুরে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসীদের হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় ২৪ ঘন্টা পরও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব ভাংচুর ও সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা না নেয়া এবং পেশাগত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে কুষ্টিয়ার সাংবাদিকরা মডেল থানার সামনে অবস্থান ধর্মঘট ও থানা কম্পাউন্ডে বসে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে সাংবাদিকরা এই অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচী চালিয়েছেন।

    সাংবাদিকরা জানান, গতকাল রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব ও জামিল হাসান খান খোকনের নেতৃত্বে ১০-১২জনের একদল সন্ত্রাসী প্রেসক্লাব দখলের জন্য পরিকল্পিতভাবে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে হামলা চালায় ও ব্যাপক ভাংচুর এবং মালামাল লুটপাট করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলে ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীদের হামলায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহ্বায়ক ও আমাদের সময় পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার শামসুল আলম স্বপন এবং সদস্য সচিব, ও এটিএন বাংলার রিপোর্টার আল মামুন সাগর আহত হন। তাদেরকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

    এ সময় সন্ত্রাসীরা ক্লাব থেকে একটি ল্যাপটপ, ভিডিও ক্যামেরা, প্রেসক্লাবের চাবি ও মূল্যবান নথিপত্র ছিনিয়ে নিয়ে সাংবাদিকদের ক্লাবের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও অন্যান্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে এসে আহত দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। পরে জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন ও পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ সরেজমিনে ঘটনাস্থল কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের থানায় মামলা দেয়ার অনুরোধ জানান।

    ঘটনার পর পরই কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক শামসুল আলম স্বপন বাদি হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিখিত এজাহার জমা দিলেও পুলিশ মামলা এন্টি না করে নানা টালবাহানা শুরু করে। থানা থেকে মাত্র ৫০গজ দুরে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসীদের হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় থানা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা না নেয়ায় সাংবাদিকরা শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার সামনে পাটি পেড়ে এই অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচী শুরু করেছেন এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণে সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবের পরিবর্তে সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন।

    এ ব্যাপারে সাংবাদিক নেতারা জানান, থানার মাত্র ৫০ গজ দুরে প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা করল, ভাংচুর করল। অথচ পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। প্রেসক্লাবে যেখানে সাংবাদিকদের কোন নিরাপত্তা নেই সেখানে সাংবাদিকদের আর এছাড়া কি করার আছে?