নিখোঁজ বিমানটি দেখার দাবি মালদ্বীপের আকাশে!

    0
    255

    আমারসিলেট24ডটকম,২০মার্চঃ মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটি নাকি দেখা গিয়েছিল মালদ্বীপের আকাশে!এমনটাই দাবি সে দেশের কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর। আগেই সন্দেহ করা হয়েছিল, হাইজ্যাক করার পর বিমানের ব্ল্যাক বক্স ও ট্রান্সপন্ডারটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল যাতে সেটি কোনো সঙ্কেত পাঠাতে না পারে। তারপর সেটিকে পাঁচ হাজার ফুটের কম নীচ দিয়ে উড়তে বাধ্য করা হয়েছিল যাতে সেটি ভারত বা অন্য কোনো দেশের রাডারে ধরা না পড়ে। মালয়েশিয়া সহ বেশ কয়েকটি দেশের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সন্দেহ, সেই সময় বিমানটি ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ দিকে উড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।

    শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মালয়েশিয়া সরকারের অনুরোধে ভারতীয় বিমানবাহিনী নতুন করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। তামিলনাড়ুর আরাক্কোনাম বিমানঘাঁটি থেকে পি-৮১ নজরদারি বিমান ও আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার থেকে সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস বিশালাকায় সামরিক বিমান দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর চষে ফেলছে হারিয়ে যাওয়া বোয়িং জেটলাইনারের খোঁজ পেতে।

    এদিকে, শ্রীলঙ্কা সরকার ও কলম্বোর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল জানিয়েছে, তারা ওই সময় বিমানের কোনো অস্তিত্ব বা গতিবিধি টের পায়নি। আকাশে বিমান বা উড়ন্ত বস্তুর বিস্ফোরণেরও কোনো চিহ্ন ধরা পড়েনি।

    তবে মালয়েশিয়ার নিউজ ওয়েবসাইট হাভিরু জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরের মালদ্বীপের কুদা হুভাদু এলাকার ধাল আতোল গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জোর গলায় দাবি করেছেন, মালদ্বীপের স্থানীয় সময় ৮ মার্চ সকাল ৬টা বেজে পনের মিনিট নাগাদ একটি বিশালাকায় বিমান খুব নীচু দিয়ে উড়ে গিয়েছিল। প্লেনের গায়ের রঙ ছিল সাদা। তাতে লাল রঙের স্ট্রাইপ দাগ ছিল। মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটির ছবি যা টিভিতে দেখাচ্ছে সেইরকমই দেখতে ছিল সেটি। পুলিশ ও সে দেশের নৌবাহিনী প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা জানিয়েছে ভারত ও মালয়েশিয়া সরকারকে। তারপরই ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে তল্লাশি জোরদার করেছে মালয়েশিয়া, ভারত, ভিয়েতনাম সহ কয়েকটি দেশের নৌবাহিনী।

    হাভিরু ওয়েবসাইটকে উদ্ধৃত করে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সাইট জানিয়েছে, মালদ্বীপের গ্রামের এক বাসিন্দা বলেছেন, তখন জোরাল আওয়াজে কান পাতা দায়। এত নীচু দিয়ে কোনো বিমান  উড়ে যেতে দেখিনি। আমরা এর আগেও সি প্লেন দেখেছি। কিন্তু ওটা যে সি প্লেন বা টহলদারি কোনো বিমান ছিল না সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।

    মালদ্বীপের বাসিন্দাদের দাবি, ওটাই ছিল মালয়েশিয়ার সেই বিমানটি। এই অবস্থায় চীন জানাল, বিমানটিকে হাইজ্যাক করে নির্জনে কোথাও লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ। সেজন্য, সুধূর পশ্চিমে দুর্গম তিব্বত, জিনজিয়াং প্রদেশে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বোয়িং ৭৭৭-২০০ -এর অস্তিত্ব জানতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হবে না। মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত হুয়াং হুইকাং জানিয়েছেন, চিন সত্যিটা জানতে সবরকমভাবে চেষ্টা করছে। জানা গিয়েছে, বিশ্বের ২৬টি দেশের গোয়েন্দা ও সামরিক বাহিনী দুটি করিডর জুড়ে বিমানটিকে খুঁজে চলেছে। একটি করিডোর হলো কাস্পিয়ান সাগর থেকে লাওস, ভিয়েতনাম পর্যন্ত। আরেকটি হলো পশ্চিম ইন্দোনেশিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত। প্রথম করিডরের মধ্যে দক্ষিণ প্রশান্ত সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকাও  রয়েছে।সূত্রঃ ইন্টারনেট।