না ভোটের বিধান সংযোজন করতে লিগ্যাল নোটিশ

    0
    235

    আমারসিলেট 24ডটকম,০৭অক্টোবর:আগামী সংসদ নির্বাচনেও যাতে ভোটাররা চাইলে না ভোট দেয়ার সুযোগ পান সে লক্ষ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) না ভোটের বিধান সংযোজন করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইন সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহরিয়ার মজিদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদওয়ান আহমদ রেজিস্ট্রি ডাকের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠান।
    নোটিশে বলা হয়, ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের নাগরিকরা প্রথমবারের মতো না ভোট দেয়ার সুযোগ পায়। ২০০৭-২০০৮ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৩১(ক) ধারায় না ভোট দেয়ার বিধান ছিল। ওই অধ্যাদেশের ৪০(ক) ধারায় উল্লেখিত অন্য একটি বিধানে বলা হয়, যদি না ভোট সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থীর ভোটকে ছাড়িয়ে যায়, সেক্ষেত্রে নতুন করে নির্বাচন হবে। পরে নোটিশের বিবাদীরা (সরকার ও নির্বাচন কমিশন) না ভোটের বিধান বাতিল করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনেও যাতে ভোটাররা চাইলে না ভোট দেয়ার সুযোগ পান, সেজন্য প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে বলা হয়েছে সে নোটিশে। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও নোটিশে সতর্কতা জানানো হয়।
    লিগ্যাল নোটিশে আরো বলা হয়, প্রতিদ্বন্দী সব প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করে নেতিবাচক ভোট দেয়ার অধিকার বাংলাদেশের নাগরিকদের রয়েছে, যা নির্বাচনকে আরও বেশি কার্যকর করে তুলবে। বিশ্বের ১৪টি দেশে বর্তমানে নেতিবাচক ভোটের বিধান রয়েছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের সংসদেও সদস্যরা না ভোট দিতে পারেন।
    তবে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে না ভোটের বিধান করা হয়েছিল। না ভোটের গুরুত্বপূর্ন প্রভাব পড়েছিল নবম সংসদ নির্বাচনে। উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল ভোটারের উপস্থিতি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যে পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয় তাতে জানা যায়, সব কয়টি আসনেই না ভোট পড়েছিল। মোট ৮ কোটি ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৯৮ জন ভোটের মধ্যে না ভোট দিয়েছেন ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬১৫ জন। মোট ভোটের ০.৫৫ শতাংশ না ভোট পড়েছিল। এক আসনে সর্বোচ্চ না ভোট পড়েছে রাঙামাটিতে। এ সংখ্যা ৩২ হাজার ৬৪টি। ঢাকার আসনগুলোতে৭০ হাজার না ভোট পড়েছিল।