নাশকতা ঠেকাতে পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি, বিজিবি নামছে সন্ধ্যায়

    0
    478

    হরতালের আগের দিন রাজধানীতে ফের বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হরতালের আগেই নাশকতা শুরু হয়েছে। চলছে বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা।

    পুলিশ বলছে, এ সব তান্ডব চালাচ্ছে হরতাল সমর্থনকারী জামায়ত শিবির ও বিএনপি। নাশকতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে রয়েছে। আর সন্ধ্যা থেকে মাঠে নামছে বিজিবি।

    রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১০টি বাসে আগুন দিয়েছে হরতালকারীরা। এতে করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। রাজধানীর রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে। কমে গেছে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল।

    ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল মণ্ডল বলেন, হরতালের নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘চোরাগোপ্তা ভাবে দু’একটি জায়গায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমরা তা মোকাবেলার চেষ্টা করছি। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।  সাঁজোয়া যান এপিসি নিয়ে টহল চলছে।’

    তেজগাঁও জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেন, এই এলাকায় হরতালের সার্বিক নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিজিবি সন্ধ্যায় মাঠে নামছে।

    সোমবার ও মঙ্গলবার টানা দু’দিন হরতাল শুরুর আগের দিন রোববার দুপুর থেকে নাশকতা শুরু হয়েছে। জামায়াত শিবিরের কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বাসে আগুন দিয়ে আতঙ্ক তৈরি করছে। কাকরাইল মোড়ে একটি যাত্রীবাহি বাসে আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থকরা।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার বিকাল পৌনে ৪ টার দিকে কয়েকজন হরতাল সমর্থকরা একটি গুলিস্তান থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী ৩ নম্বর একটি যাত্রীবাহি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। রমনা মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাফাত আরা সুলতানা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে রবিবার দুপুরে একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয় জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার জানান, রোববার দুপুর ৩ টার দিকে কয়েকজন জামায়াত-শিবিরেরকর্মী এসে একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।

    দুপুর ১ টার দিকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট সংলগ্ন বাসে প্রথম আগুন দেয় শিবির। এরপরই মালিবাগ মোড় প্রায় একই সময় ফার্মগেট এলাকায় বাসে আগুন দেয় শিবির। দুপুর ২ টার দিকে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয় হরতাল সমর্থনকারীরা। এছাড়া আরো নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    এদিকে জামায়াত শিবিরের হঠাৎ করে আগুন দেয়ার ঘটনায় দুপুরের পর থেকে রাজধানী জুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন শুরু হয়েছে। দুপুরে ৩ টার পর থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত পল্টন, দৈনিক বাংলা, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ি, সাইনবোর্ড, হাজারিবাগ, বিজয়নগর, নয়াপল্টন, ফকিরারপুল, কাকরাইল, মালিবাগ, মগবাজার, রামপুরা, বাড্ডা, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, গাবতলি, মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। এ সব এলাকায় নাশকতা রোধে পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে।  

    নাশকতা ঠেকাতে পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি, বিজিবি নামছে সন্ধ্যায়
    নাশকতা ঠেকাতে পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি, বিজিবি নামছে সন্ধ্যায়