নাভারণ হাইওয়েতে সাঁড়াশি অভিযানে আটক গাড়ী কোথায় ?

    0
    236

    বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের নাভারন হাইওয়ে পুলিশ যশোর-বেনাপোল ও নাভারণ-সাতক্ষীরা হাইওয়ে সড়কে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৩ দিনে প্রায় শতাধিক যানবাহন আটক করে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গভীর খাদের ময়লাযুক্ত পানিতে ফেলেছে। আটক করা গাড়ীগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে বলে আটককৃত গাড়ির মলিকেরা জানিয়েছেন।

    এ ব্যাপারে আটককৃত গাড়ির মলিকেরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন। তারা বলেছেন নছিমন, করিমন, ইজিবাইক, আলম সাধু এমনকি পাওয়ার টিলার ও সিএনজি আটক করে গভীর খাদের ময়লাযুক্ত পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে যা সম্পুর্ন আইনের পরিপন্থী, এগুলো সভ্য মানুষের কাজ না।
    শার্শা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের লিটন হোসেন ও গোগা দক্ষিণ পাড়ার মোহাম্মদ আলী জানান, আমাদের গাড়ী গুলো মহাসড়ক থেকে আটকায়ে গভীর খাদের ময়লাযুক্ত পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে।এটা অন্যায় ও জুলুম, রাষ্টীয় আইনে এটা বলা হয়নি, এটা রিতিমত গরীবের পেটে লাথি মারা হয়েছে। তারা আরো বলেন, নছিমন, করিমন, আলম সাধু, ভটভডি চালায় যারা, তারা নিঃস্ব গরীব ও অসহায় । আর অনেকের সংসার এর উপরেই নির্ভরশীল।

    আলম সাধু চালক আব্দুল কাদের জানান, এনজিও থেকে লোন নিয়ে আমি গাড়ি কিনেছি।আমার গাড়ি আটকায়ে রাখলে লোন পরিশোধ করা সম্ভব নয়। এনজিওর লোনের টাকার জন্য আত্মহত্যা করতে হবে। বেনাপোলের রাসেদ তরফদার বলেছেন, আমার নছিমন চালিয়ে সংসার চলে। আমার গাড়ীটাও গভীর খাদের ময়লাযুক্ত পানিতে ফেলা হয়েছে, এখন আমার বাল-বাচ্চার মুখের আহার বন্ধ। তিনি আরো বলেন, পরিবহন মালিক সমিতিকে খুশী করতে যেয়ে গরীবের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। এটা মানতে তারা নারাজ।
    এ বিষয়ে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পলিটন মিয়া বলেন, উপর মহলের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তিনি আরও জানান, ডিআইজি’র নির্দেশে নসিমন, করিমন, ইজিবাইক, আলম সাধু, পাওয়ার টিলার, ভডভডি ও সিএনজির ওপর এ অভিযান পরিচালানা করা হয়। এ গুলো আটকের পর তা পুকুরে বা বিলে অথবা জলাশয়ে ফেলে দিয়ে তার ছবি উঠিয়ে এ ছবি আবার ডিআইজিকে দেখাতে হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। তবে এ অভিযান আরও কতদিন চলবে তা তিনি সঠিক ভাবে জানাতে পারেননি।