নবীগঞ্জে সরকারী ভুমি জবর দখল করে গৃহনির্মাণের অভিযোগ

    0
    769

     অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলনে সরকারের লাখো টাকা রাজস্ব ক্ষতি

    নূরুজ্জামান ফারুকী নবীগঞ্জঃ  নবীগঞ্জ উপজেলার করগাওঁ ইউনিয়নের কমলাপুর এলাকায় ছল্লুক মিয়া, হামদু মিয়া ও ইউসুফ মিয়া, আজিদ মিয়াগংরা সরকারের বিপুল পরিমান টাকার ভুমিতে জোরপুর্বক গৃহনির্মাণ করে জবর দখল করেছে। এছাড়া বাড়ি সংলগ্ন খাল থেকে প্রচুর পরিমান মাটি উত্তোলন করায় লাখো  টাকা ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।

    এছাড়া একই এলাকার রহমত আলীর স্ত্রী শেলিনা বেগম সরকারী জায়গা থেকে মাটি উত্তোলন করে পুকুর করেছেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিলে ভুমি অফিসের সহকারী তহশীলদার আবিদ আলী সরজমিনে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করেন। গত দু’দিন ধরে ফের আবার মাটি কাটা শুরু করেছে হামদু মিয়া ও আজিদ মিয়াগংরা। এতে সরকার বিপুল পরিবার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

    স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের চত্রছায়ায় ওই গ্রামের মৃত জাকির হোসেন এর ছেলে ছল্লুক মিয়া, হামদু মিয়া, আজিদ মিয়া ও ইউসিুফ মিয়া সরকারের ১নং খতিয়ানের, জেএলনং-৭৭, দাগ নং ২৭৮৭ এর বিপুল পরিমান সরকারের ভুমি জবর দখলে নেয়। এখানে বাড়িঘর নির্মাণ করায় সরকারের বিপুল পরিমান অর্থের ভুমি বেহাত হচ্ছে। এছাড়া জবরদখলকারীরা বাড়ির পাশের সরকারী খাল থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে। কিছু মাটি তার ভিটে উত্তোলন করেছে। এদিকে সহকারী তহশীলদারের বাধাঁ নিষেধকে উপেক্ষা করে ফের মাটি কাটা শুরু করেছে। এতে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়ে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার হামদু মিয়া, আজিদ মিয়া, ইউছুপ মিয়া ও সামছু মিয়াগংরা সরকারের খাস খতিয়ানের বিপুল পরিবার ভুমি জবর দখল করে স্থায়ীভাবে গৃহ নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি বাড়ির পাশের খাল থেকে মাটি উত্তোলন এবং খালের একটি অংশে ধান রোপন করেছেন।

    অপর একটি অংশে জাহির আলী নামক এক লোক ধান রোপন করেছে। অপর দিকে একই গ্রামের রহমত আলীর স্ত্রী শেলীনা বেগম বাড়ির সামনে সরকারী জায়গা থেকে প্রচুর পরিমান মাটি উত্তোলন করে। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। সরকারী জায়গা থেকে মাটি উত্তোলন করলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে আজিদ মিয়ার স্ত্রী হোসাই বিবি এবং রহমত আলীর স্ত্রী শেলীনা বেগম জানান, স্থানীয় তহশীল অফিসের সহকারী তহশীলদার আবিদ আলী সাহেবকে টাকা দেয়ায় তিনি অনুমতি দিয়েছেন মাটি কাটার। বন্দোবস্ত এর বিষয়ে বলেন, মেম্বার ফনি দাশের নিকট থেকে তারা দখল খরিদ করেছেন। তবে তারা এ ব্যাপারে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। সরজমিনে গিয়ে সহকারী তহশীলদার আবিদ আলীকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়। তিনি সাংবাদিকদের দেখেই কোন প্রশ্নের না দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

    এদিকে সরজমিনে মাটি উত্তোলন এবং সরকারী জায়গা জবর দখলের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভ করলে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুমাইয়া মুমিন। তিনি পুণঃরায় মাটি উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকার নিদের্শ দেন। এলাকাবাসী সরকারী খাল থেকে মাটি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবী জানিয়েছেন।