নবীগঞ্জে শাড়ি-ওড়না-কঙ্কাল দেখে নিখোঁজ নারীকে শনাক্ত

    0
    446

    নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নিখোঁজের ৩ মাস পর নবীগঞ্জের হাওর থেকে সুজনা বেগমের (২৯) কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরনের কাপড় শাড়ি ও ওড়না দেখে সুজনা বেগমের পরিবারের লোকজন তার দেহাংশ শনাক্ত করেন। 

     শনিবার সন্ধ্যায় ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কইখাই গ্রামের ইলিমপুর হাওর থেকে মৃতের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কইখাই গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে ও সুজনার প্রেমিক সাহিন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। 

    সুজনা নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের তোলাফর উল্লার মেয়ে।

    জানা যায়, চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর খালার বাড়ি সৈয়দপুর যাবার পথে নিখোঁজ হয় সুজনা। এ ব্যাপারে তোলাফর উল্লা ওই দিনই নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। শনিবার বিকেলে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কইখাই গ্রামের ইলিমপুর হাওরে স্থানীয় লোকজন মৃত মানুষের হাড় ও কাপড় দেখে পুলিশে খবর দেন।

    নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী, ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক সামছুদ্দিন খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কঙ্কাল, ওড়নাসহ পরনের কাপড় উদ্ধার করেন। এ সময় সুজনার পরিবারের লোকজন কাপড় দেখে হাড়গুলো সুজনার বলে শনাক্ত করেন।

    সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে এক দল পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুজনার প্রেমিক সাহিন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন।

    সুজনার ভাই সাহিনুর রহমান জানান, সুজনার সঙ্গে সাহিন মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে সুজনাকে তারা অন্য এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন। সুজনার ৪ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পরও সুজনা ও সাহিনের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এমতাবস্থায় সুজনা নিখোঁজ হয় বলে জানা যায়।

    জানা গেছে সুজনা নিখোঁজের পর তার পরিবারের দায়েরকৃত জিডির ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাহিনকে আটক করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।