নবীগঞ্জে ভূয়া সংবাদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত-১০

    0
    253

    নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় আসামী নোমান মিয়া কারাগারে ভূয়া মৃত্যুর সংবাদকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলা সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলা বাউসা ইউনিয়নের হরিধরপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে।
    জানা যায়, গত ১৩ মার্চ রবিবার রাতে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের হরিধরপুর গ্রামে প্রস্রাব করার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে জনৈক এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনার ৪ দিন পর ১৭ মার্চ রবিবার কিশোরীর পিতা নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে তাৎক্ষণিক নবীগঞ্জ থানা পুলিশ মামলার ২য় সহযোগী আসামী হিসেবে ওই গ্রামের সুফি মিয়ার ছেলে নোমান মিয়া (১৮) কে গ্রেফতার করে। পরদিন ১৮ মার্চ সোমবার নোমান মিয়াকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে হবিগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাউসা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য দীপ্তেন্দু দাস গুপ্তর কাছে অজ্ঞাত দুটি নাম্বার থেকে কল দিয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার এবং জেল হাজতের জেল সুপার পরিচয় দিয়ে জানায়, আসামী নোমান জেল হাজতে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। তাকে বাঁচাতে হলে দ্রুত ৬০ হাজার টাকা বিকাশ নাম্বারে পাঠানোর জন্য বলা হয়।

    এ খবর আসামী নোমানের চাচা সালেহ আহমদকে অবগত করেন ইউপি সদস্য। এরপর সালেহ আহমদ ওই নাম্বারে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা পাঠান। টাকা পাঠিয়েই নোমানের মা-বাবা দ্রুত সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। যাওয়ার পথিমধ্যে নোমান মারা গেছে খবর পেলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে নুর ইসলাম গং ও সুফি মিয়া গংরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত জড়িয়ে পড়েন।

    এসময় প্রায় আধা ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে উভয় পক্ষের মহিলা সহ ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. গোলাম দস্তগীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, ছাতির মিয়া (৪০), হাসিনা বেগম (৩৫) নুর ইসলাম (৩৫), সাকিরা আক্তার (৩০), আকলিয়া আক্তার (১৫)। অপর আহতদের তাৎক্ষণিক পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
    এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. গোলাম দস্তগীর জানান, ভূয়া খবরকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।