নবীগঞ্জে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান’র দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক

    0
    251

    নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের ১০টাকা কেজি দরের চালের তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও সুবিধাভোগীদের চাল আত্মসাতের দায়ে (বরখাস্তকৃত) চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের কর্মকান্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
    দলীয় সূত্র বলছে-নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইমদাদুর রহমান মুকুলকে দলীয় সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কার্যকর করার জন্য জেলা আওয়ামীলীগের নিকট সিদ্ধান্ত প্রেরণ করা হয়। ইমদাদুর রহমান মুকুলকে বহিষ্কার করার জন্য হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ থেকে সুপারিশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নিকট প্রেরণ করা হবে।
    এদিকে বিশ্বস্থ সূত্র জানিয়েছে- দুর্নীতির অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। প্রভাবশালী এই নেতার এহেন অনিয়মের কান্ড নিয়ে আলোচনায় সরব নবীগঞ্জ উপজেলা। সুশীল সমাজ মনে করছেন বর্তমান সরকারের আমলে দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। অপরদিকে দুর্নীতির দায়ে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ইমদাদুর রহমান মুকুল বাঁচতে বিভিন্ন মহলে দৌঁড়ঝাপ করছেন।
    সূত্রে প্রকাশ, চেয়ারম্যান পদ হতে স্থায়ীভাবে অপসারণ থেকে বাঁচতে ও চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেতে বিভিন্ন স্থানে ধর্না দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগে দুর্নীতিবাজদের টাই নেই বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
    জানা যায়, চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গত ৭ জুলাই গজনাইপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদ থেকে মুকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এরপর ১৫ জুলাই বুধবার নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক নেতা। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে ইমদাদুর রহমান মুকুলকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বর্তমানে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ।
    এদিকে দলীয় সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত ইমদাদুর রহমান মুকুল আজ রবিবার দলীয় সভার আহ্বান করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের প্রথমসারির নেতাকর্মীরা বলছেন এটি মুকুলের ব্যক্তিগত সভা।
    এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী বলেন, দুর্নীতিবাজদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন। যে দুর্নীতি করবে তাকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অব্যাহতি ও পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ইমদাদুর রহমান মুকুলকে নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানো হচ্ছে।