নবীগঞ্জে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলায় সংঘর্ষে আহত-১০

    0
    289
    নুরুজ্জামান ফারুকী: নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে নারায়নগঞ্জ থেকে আসা যুবককে মসজিদে নামাজ পড়তে না গিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলাকে কেন্দ্র করে হামলা লুটপাট ও  ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামলায় গুরুতর আহত ৪ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

    জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রজাতপুর গ্রামের আলীফর উল্লার পুত্র গার্মেন্টস কর্মী মাহিদ মিয়া গত শুক্রবার নারায়নগঞ্জ থেকে নিজ বাড়ি প্রজাতপুর গ্রামে আসে। বাড়ীতে এসে সে গ্রামে অবাধে চলাফেরা করে। ধর্মমন্ত্রণালয় কর্তৃক তারাবী নামাজে ১২ জনের বেশী মুসল্লী নামাজ না পড়তে বিধিনিষেধ দেয়া হলেও মাহিদ প্রথম রোজা থেকেই গ্রামের মসজিদে নামাজ পড়ে আসছে।

    এমন অবস্থায় গত ২রমজান সন্ধায় একই গ্রামের মৃত ছাও মিয়ার পুত্র মইনুল ইসলাম মাহিদকে ঘর থেকে বের না হয়ে সরকারের নির্দেশনা মেনে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে অনুরোধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহিদ বলে আমি কোথায় থাকবো না থাকবো তাতে তোর কি। এ নিয়ে দুজনের মধ্য তর্কবিতর্ক হয়।  এ সময় মাহিদের পক্ষ নেয় তার সঙ্গী শাহিন আহমদ বসুর ও নুর আলম। তারা মইনুলের উপর আক্রমন করতে চাইলে গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, স্বপন মিয়াসহ কয়েকজন লোক আসলে আক্রমনকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায় মইনুল।

    এর জের ধরে মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে শাহিন আহমেদ বসুর ও মঈন উদ্দিনের ছেলে নুর আলমের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মাহিদসহ তার অন্যান্য লোকজন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে শজ্জিত হয়ে গত বুধবার (২৯এপ্রিল) ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় মইনুল ইসলাম, তার চাচাতো ভাই স্বপন মিয়া ও সিরাজুল ইসলামের বাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা সিরাজুল ইসলামের বাড়ীতে লুটপাট ও ভাংচুর করা হয় বলে জানাগেছে।

    হামলায় ১০জন আহত হন। আহতদের মধ্য তারেক মিয়া (২২), স্বপন আহমেদ (৩০) ইমরান মিয়া (২০) ও সালামিন (২৫) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহত সেলিম মিয়া (৩৫), উজ্জল আহমেদ (৩৩), মইনুল ইসলাম (২৮), প্রবীর মিয়া (২৫), হাফিজুল ইসলাম (২৯)। তাদেরকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘুম থেকে উঠে মইনুলের লোকজনসহ গ্রামবাসী ঘটনা স্থলে ছুটে আসলে হামলাকারীরা ঘটনা স্থল ত্যাগ করে।
    এ ব্যাপারে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সামছউদ্দিন খাঁন জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যাই। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।