চর কেটে বালু বিক্রির অভিযোগ,কোটি টাকার রাজস্ব বিনষ্ট

    0
    444

    নূরুজ্জামান ফারুকী,নবীগঞ্জ থেকে: নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীর চর কেটে ফের বালু ও মাটি বিক্রি করছে স্থানীয় কয়েকটি প্রভাবশালী মহল। কোনো ধরণের ইজারা ছাড়াই উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে কয়েক মাস ধরে এ ঘটনা ঘটছে। এর ফলে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করেই সরকারের সম্পদ চুরি করে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে। জানা যায়, উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বুক চিড়ে প্রবাহিত কুশিয়ারা নদীতে বর্তমান সময়ে পানি না থাকায় কসবা গ্রামে বিশাল চর জেগেছে। কয়েক মাস ধরে বিশাল স্থান নিয়ে জাগা এই চরে স্থানীয় ৪-৫টি সড়ঘবদ্ধ প্রভাবশালী চক্র কসবা গ্রামের কুশিয়ারা নদীর ঘাট এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যার পর ওই সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের ৪৫-৫০ জন শ্রমিক তারা নদীর চর কেটে ট্রাকে বালু ও মাটি তোলে দেন।

    বালুগুলো বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হয়। আর মাটি বিক্রি করা হয় ভিটা বাড়ি ভরাটের জন্য। নদীর চর থেকে প্রতি ট্রাক বালুর দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ৫০-৬০ ট্রাক বালু বিক্রি করা হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর চরের বালু মাটি বিক্রি করে সঙ্ঘবদ্ধ কুচক্রী মহল লাভবান হলেও কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছত্রছায়ায় সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এদিকে বন্যা কবলিত এলাকা হিসেবে দীঘলবাক ইউনিয়নে গত বছর প্রায় কয়েক শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি পানির নিচে তলিয়ে যায়। ঝুকিঁপূর্ন এলাকা হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে প্রকাশ্যে এ ইউনিয়নে নদীর চর কেটে অবাধে বালু বিক্রি করা হচ্ছে এনিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন।

    অন্যদিকে নদীর চর থেকে প্রকাশ্যে ক্ষমতার দাপটে সরকারি সম্পদ চুরি করে বিক্রি করার বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নানা আলোচনা দেখা দিয়েছে !। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, নদী মাতৃক আমাদের এই বাংলাদেশ। কিছু অসাধু লোকজনের কারণে নদীর চর কেটে বালু বিক্রি করার উৎসব চলছে। তাই দ্রুত চর কাটা বন্ধে প্রশাসন সোচ্ছার হবে বলে আশাবাদী।

    এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যে খবর পেয়ে আমি কয়েকদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছি, কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায়না। প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। যারা নদীর চর কেটে বালু বিক্রি করছে তাদের সবার বিরুদ্ধে শীঘ্রই নিদিষ্ট বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর আওতায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।