নবীগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর-বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্টান লন্ডভন্ড  

    2
    276

     “তিন দিন পর বিদ্যুৎ আসায় জন জীবনে স্বস্তি !”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩এপ্রিল,মতিউর রহমান মুন্না: নবীগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সন্ধারাতে দেড় ঘন্টাব্যাপী চলা ঘূর্ণিঝড়ে শিক্ষা প্রতিষ্টান, বাড়ি ঘর, গাছ পালা, কাচা ঘর বাড়ি, ঘরের চালা, বিদ্যুতের খুটিসহ বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় থেকেই বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে নানা দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী। তিন দিন পর গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিদ্যুৎ চলে আসায় জন জীবনে স্বস্তি ফিরে আসে।

    এর মধ্যে পৌর শহরের হোমল্যান্ড স্কুলের ছালে টিন উপড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

    জানাযায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় এবং বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নবীগঞ্জের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ওই কাল বৈশাখীর ছুবলে পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে গাছ পালা লন্ডভন্ড হয়ে যায়। অনেক কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।

    বিদ্যুতিক কুটি পড়ে যাওয়ায় বুধবার সন্ধ্যা থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। ফলে এলাকায় ভুতরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্টানের টিন উপড়ে গিয়ে পাশ্ববর্তী জমিতে পড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঝড় ও বৃষ্টির সাথে কোন কোন এলাকায় শিলাবৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশংখ্যা করছেন কৃষকরা।

    বিদ্যুতিক কুটি উপড়ে পরে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় চলতি এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটায় শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে।

    বুধবারের সন্ধ্যার ঝড়ে শহরের ঐতিহ্য বাহী বিদ্যাপিট হোমল্যান্ড আইডিয়েল স্কুলের দু’ তলার ছালের টিন উপড়ে যাওয়ায় প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ তাপশ লাল আচার্য্য।

    ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে দেবপাড়া, আউশকান্দি, কুর্শি, বড়ভাকৈর পুর্ব, বড়ভাকৈর পশ্চিম, নবীগঞ্জ সদর দেবপাড়া, পানিউমদা, গজনাইপুর, বাউশা, কুর্শি, দীঘলবাক, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নে প্রতিটি গ্রামেই ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

    এছাড়াও শহরের বিভিন্ন দোকানপাট এর টিন উপড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিভিন্ন হাওরের কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানাযায়, গেল দু’দিনের ঝড় বৃষ্টির পাশাপাশি কিছু শিলা বৃষ্টি দেখা গেছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ে ক্ষতির পরিমান হবে অন্তত অর্ধ কোটি টাকা।