নবীগঞ্জে অর্থমন্ত্রী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীঃউদ্বোধনী অনুষ্ঠান

    0
    214

    “সিলেটে প্রবাসীরা আইটি সিটি করছেন: অর্থমন্ত্রী,ডিসেম্বরের মধ্যে নবীগঞ্জে গ্যাস দেয়ার জন্য চেষ্টা করব: সমাজকল্যাণ মন্ত্রী”

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৫ফেব্রুয়ারী,মতিউর রহমান মুন্নাঃ অর্থমন্ত্রী বলেন, সিলেটে প্রবাসীরা আইটি সিটি করছেন। ইতিমধ্যে তারা ৭০ বিঘা জমি নিয়েছেন। হবিগঞ্জে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি গড়ে উঠেছে। এ অঞ্চলে অর্থ ও গ্যাস আছে। এগুলোই হচ্ছে মৌলিক উপাদান।

    তিনি আরও বলেন, সিলেট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। এখানকার মানুষ জাতীয় ক্ষেত্রে অনেক অবদান রাখছেন।

    গতকাল রবিবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দিতে এফসিআই গ্রুপের জেআইসি স্যুট লিমিটেড উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এসব কথা বলেন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী বলেন, সংগ্রামের সময় নবীগঞ্জ থেকে আমি মুক্তিযোদ্ধ করেছি, নবীগঞ্জের সকল আইল আমার পরিচিত, তাই নবীগঞ্জবাসীর গ্যাস সহ সকল দাবীর সঙ্গে আমি একমত, নবীগঞ্জে গ্যাস উত্তোলনকে ইঙ্গিত করে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানি গাভি খাওয়ায় আর পশ্চিম পাকিস্তানি সে গাভির দুধ নেয়। তা হয়না। ডিসেম্বরের মধ্যে নবীগঞ্জে গ্যাস দেয়ার জন্য চেষ্টা করব। এখানে আমার আত্মীয় আছে। এখানে থেকেই যুদ্ধ করেছি। এখানকার মানুষের দাবির সাথে আমি একমত পোষণ করছি। তারপরও যদি নবীগঞ্জবাসী খুশি না হয়? আমরা চাই এ দেশ মালয়েশিয়া হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন, নবীগঞ্জ-বাহুবলের সংসদ সদস্য এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী, নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জুল ইসলাম চৌধুরী প্রমূখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম চৌধুরী।

    উল্লেখ্য, প্রায় দুই বছর আগে নবীগঞ্জের আউশকান্দিতে এই গার্মেন্টসের উদ্বোধন ঘোষনা করা হয়। তখন স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সহ এলাকার মানুষকে কয়েকটি গরু জবাই করে খাওয়ানো হয়। শতভাগ রপ্তানীমুখি এ প্রতিষ্ঠান নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন শুরু হয়। এখানে কাজ করছেন ৬শ’ শ্রমিক। এ ফ্যাক্টরি থেকে প্রতিদিন ১ লাখ ২০ হাজার পিস মহিলাদের জ্যাকেট ও স্যুট উৎপাদিত হচ্ছে। বছরে এখান থেকে ৬ থেকে ৭ মিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে বলে জানান উদ্যোক্তারা।