নবীগঞ্জের বাঁশডর গ্রামের রাস্তার দুর্দশা রয়েই গেল

    0
    215
    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৮মে,সানিউর রহমান তালুকদার, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকেঃ গেল বছরের (১৮ই মে) মাসের ঐদিনে ”বাঁশডর গ্রামের রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী, দেখার যেন কেউ নেই”! ওই শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও এখনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজড়ে আসেনি বাঁশডর গ্রামের বেহাল দশা রাস্তাটি। ফলে বর্ষার মৌসুম শুরু হতে না হতেই সৃষ্টি হওয়া খানাখন্দে পানি লেগে এ রাস্তা মরণ কোপে পরিণতি হয়ে উঠেছে। এ কারণে ওই এলাকার অগণিত শিক্ষার্থীরসহ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষ মারাত্মকভাবে ঝুঁকির সম্মুখীনে যাতায়াত করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
    এদিকে গত বছর ওই সংবাদ প্রকাশের বেশ কিছুদিন পর রাস্তা সংস্কারে কোনো অগ্রগতি না পেয়ে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে ও স্বেচ্ছাশ্রমে খানাখন্দে ভরাট করে যাতায়াতের ও বৈশাখী মৌসুমের সোনালী ফসলী ঘরে তোলার জন্য সংস্কার করে।
    কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে একটি বছর পেরিয়ে গেলেও ওই এলাকার মানুষের জনদুর্ভোগ লাঘবে এ রাস্তাটি সংস্কারের কোনো ধরনের প্রদক্ষেপ নেয়া হয়নি এখনো। আর কবে নাগাদ প্রদক্ষেপ নেয়া হবে তাও সঠিক জানেন না এলাকাবাসী। তবে দুর্দশাই তাদের এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। উল্লেখ্য, নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাঁশডর এলাকার রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। ফলে এ রাস্তায় অগণিত ছাত্র-ছাত্রী’সহ সাধারণ মানুষ যাতায়াতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
    সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীগঞ্জ-টু-আইনগাঁও সড়কের সাথে সংযুক্ত রয়েছে বাঁশডর, দাশেরকোনা, দেবপাড়া, ভরাকোনা’সহ কয়েক গ্রামের হাজারও মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সংযুক্ত এই রাস্তা। তবে এ রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষ। এতে দিনের পর দিন চাপা ক্ষোভ নিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী।
    এছাড়া অল্প বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তায় হুবাহুব হাটু সমান পানি লেগে পুকুরে পরিণত হয়। যার ফলে গর্ত হয়ে খানাখন্দে কাঁধা সৃষ্টি হয়ে যায়। বিশেষ করে বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে ওই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষদের। স্থানীয় স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তায় কোনো কাজকর্ম না হওয়ায় রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে ইটসলিং ওঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচলের মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটছে। সেই সাথে বিপাকে পড়েছি আমরা কয়েক গ্রামের স্কুল কলেজ ছাত্র-ছাত্রীরা।
    এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মো: আবু সিদ্দীক জানান, ওই এলাকার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে কয়েক গ্রামের মানুষদের দৈন্যদশা ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই অচিরে ওই রাস্তা পাঁকাকরনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ বরাদ্দ কামনা করছি।
    এলাকাবাসী জানান, এ রাস্তা দিয়ে খুবই কষ্ট সাধ্য করে আমাদের চলাফেরা করতে হচ্ছে। এ কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার সম্মুখীনের মুখে চলাচলা করতে হয় আমাদের। এমনকি ওই রাস্তার নাজেহাল অবস্থা দেখে সিএনজি (অটোরিক্সশা) ছাড়াও বড় কোনো ধরণের গাড়ি আসবে দূরের কথা, একটি ব্যাটারি চালিত রিকশাও আসতে চায় না। এভাবে আর কতকাল আমরা মানবেতর জীবনযাপন করে চলাফেরা করবো।
    বাংলাদেশে ব্যাপক আঁকারে উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু বাঁশডর গ্রাম এখনো রয়েছে ভূতুরে অন্ধকারে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস পার হচ্ছে তবুও ওই রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি এখনো। যেন মরার ওপর খঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ রাস্তাটি। এ কারণে যাতায়াতের অসুবিধা দিনদিন ব্যাপক অাঁকারে বেড়েই যাচ্ছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।