দেশে করোনাভাইরাসে আক্রাক্ত হয়ে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে নয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হলেন। তাদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৩০ জন সুস্থ হয়েছেন।
৮ই মার্চ বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টায় এবারই সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হলো।
বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআরের) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নতুন করে সংক্রমিতদের একজন। অপরজন আগেই সংক্রমিত হয়েছিলেন। দুইজনের বয়সই ষাট বছরের বেশি। তাদের অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। তাদের একজনের ঢাকায় মৃত্যু হয়েছে, আরেকজন ঢাকার বাইরে।
পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘নতুন আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজন পূর্বে সংক্রমিতদের সংস্পর্শে এসেছিলেন বা পূর্বে সংক্রমিতদের পরিবারের সদস্য। দুইজন বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।”
”বাকি দুইজনের ব্যাপারে এখনো তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।”
এদের মধ্যে দুইটি শিশু রয়েছে, যাদের বয়স ১০ বছরের নীচে। তিনজনের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে,একজনের বয়স ৬০ থেকে ৭০, আরেকজনের বয়স ৯০ বছর।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, বর্তমানে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১২জন। অপর বিশজন হাসপাতালে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৫৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আইইডিসিআর ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মিলে এই নমুনা সংগ্রহ করেছে।
তিনি বলেন, ”যেসব হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার যন্ত্র বসানো হয়েছে, সেখানে যদি কোন রোগীকে করোনা সন্দেহ করলে সেখানেই পরীক্ষা করবেন। রোগী করোনাপজিটিভ হলে এজন্য চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে পাঠাবেন। না হলে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা দেবেন।”
একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ”কমিউনিটি সংক্রমণ হয়েছে বলে অবশ্যই আমরা বলতে পারি। কিন্তু সেটা এখনো সীমিত আকারে, ক্লাস্টার আকারে রয়েছে। তবে আমরা আমাদের পরীক্ষার সংখ্যা আরো বাড়িয়ে দেবো।”
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ২৪৩জন। এদের মধ্যে ৫৮ হাজার ৯২৯জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ৬৬৯জন।
গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার কথা জানায়। এরপর ১৮ই মার্চ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ। সূত্র বিবিসি
২৫শে মার্চ প্রথমবারের মত সংস্থাটি জানায় যে বাংলাদেশে সীমিত আকারে কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।
২রা এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায় ৩রা এপ্রিল থেকে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার আওতা বাড়ানো হবে।