ধর্মপাশা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ এ দুর্নীতির অভিযোগ

    0
    238

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১২নভেম্বর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নে কৃষকদের দেওয়া ভিজিএফ কার্ডে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ ভিজিএফের তালিকাভুক্ত কৃষকদের সরকারের দেওয়া বরাদ্দকৃত ৩০ কেজি চাউল ও ৫০০শ টাকা না দিয়ে নিজের দলীয় লোকদের মাঝে বন্টন করে দিয়েছেন বলে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ। ইউনিয়নের সানুয়া গ্রামের আরাধন সরকার জানান, এবারের ফসলহানিতে আমরা কৃষকেরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমাদের বেঁচে থাকার তাগিদে সরকার উন্মোক্ত জলাশয়ে মাছ আহরণ করার সুযোগ দিয়েছেন। সরকারের এই নির্দেশে আমরা মাছ আহরণ করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেছিলাম।

    কিন্তু চেয়ারম্যানের লোকেরা বৈয়ারকুড়ি জলমহালে সীমানা অতিক্রম করে জেলেদের মারধর করে মাছ আহরনের জন্য নিষেধ দেয়। এরই প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ ক্ষুব্দ হয়ে ভিজিএফ কার্ডের তালিকাভুক্ত হওয়ার পরও আমাদের বিল বন্ধ করে রেখেছে। একই গ্রামের রাখাল ভৌমিক জানান, কষ্ট করে হাওড়ে জমি করছিলাম, তাও পাইনে নিয়া গেছে। কৃষকদের জন্য সরকারী অনেক অনুদান আইছে, আর এই অনুদানে আমরারে তালিকাভুক্তও করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের বিরুধীতা হওয়ায় আমাদের ভিজিএফ কার্ডের বিল না দিয়ে এই বিল তার আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে দিয়ে দিছে। যারা জমি করছে না, তারা ভিজিএফ কার্ড পায় আর আমাদের জন্য বিল আসলেও এই বিল চেয়ারম্যান লুটেপুটে খায়। অকাল বন্যায় হাওড়ে জমি তলিয়ে গেলে সহায়তার তালিকাভুক্ত হওয়ার পরও সানুয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা সহায়তা সরকারি সহায়তা থেকে বি ত। কৃষকদের অভিযোগ, দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ ও ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার শৈলেন সরকারের স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারী সুযোগ-সুবিধা থেকে বি ত। তালিকাভুক্ত কৃষকদের ভিজিএফ বিল না দিয়ে এই বিল তার নিজ নিজ লোকদের মাঝে বিলীয়ে দেয়। চেয়ারম্যানের সাথে কৃষকদের বিরুধীতা হলেই ভিজিএফের বিল থেকে বি ত হতে হয়।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক জানান, চেয়ারম্যান প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আর কিছু বলতে পারিনি। চেয়ারম্যানের স্বজনপ্রীতির কারণে একই পরিবারে তিন চারজনে ভিজিএফ কার্ড পেয়েছে। এ বিষয়ে মেম্বার শৈলেন সরকার জানান, যারা অভিযোগ করেছে আসলেই তারা ভিজিএফের তালিকাভুক্ত। তবে এইগুলো কার্ড চেয়ারম্যান দিয়েছেন। বিল না পাওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান এই বিলগুলো অন্যজনদের মধ্যে বন্টন করে দিয়েছে। তবে তারা পাবে না কেন এটা আমি জানি না?

    বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ জানান, ভিজিএফের ৫ টি বিল দেওয়া হয়েছে। আর তালিকাভুক্ত কেউ যদি বিল না পেয়ে থাকে তাহলে এগুলো মেম্বারের বিষয়। আমি মেম্বারকে বলব অভিযোগকারীরা বিল না পাওয়ার কারন কি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন খন্দকার জানান, লিখিত ভাবে এমন অভিযোগ পেলে আমরা দুর্নীতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।