দ্রব্য মূল্যের ঊর্দ্ধ গতিরোধ, ন্যায্য ভাড়াঃস্থায়ী স্ট্যান্ড ও নির্যাতন বন্ধের দাবি  

    1
    240

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৯মার্চঃ শনিবার বিকাল ৫টার সময় চৌমুহনাস্থ কার্যালয়ে মৌলভীবাজার জেলা রিকশা শ্রমিক সংঘের এক সভা প্রবীণ রিকশা শ্রমিকনেতা খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতিরোধ করে বর্তমান বাজারদরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ, রিকশা রাখার জন্য সুবিধাজনক স্থানে স্থায়ী স্ট্যান্ড স্থাপন ও কথায় কথায় রিকশা শ্রমিকদের উপর নির্যাতন বন্ধের দাবি জানানো হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন রিকশা শ্রমিক সংঘের সভাপতি সোহেল আহমেদ, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ, সদস্য আবু হানিফ খান, শুরুজ আলী, আব্দুল হাই, কালেঙ্গা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কালাম, মোতাহার হোসেন ও রুহুল আমিন। এছাড়াও সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোটেশ শ্রমিক ইউনিয়ন মৌলভীবাজার জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ তারেশ বিশ্বাস সুমন।

    সভায় বক্তারা বলেন ২০০৭ সালে রিকশা শ্রমিকদের  সাথে কোন রকম আলোচনা না করে পৌরসভা কর্তৃক মৌলভীবাজার শহরে রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করে শহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়ার তালিকা টাঙ্গানো হয়, যা সেই সময়েই বাজারদরের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না। এরপর চাল, আটা, ডাল, তেল, লবন, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণের বেশি দাম বাড়ালেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নতুন ভাড়ার তালিকা দেন নাই। এমতাবস্থায় বর্তমান দ্রব্যমূল্যেও ঊর্ধ্বগতির বাজারে রিকশা শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। সেই সাথে যথাযথ ভাড়া নির্ধারণ না করায় যাত্রী সাধারণের সাথে ভাড়া নিয়ে বাদানুবাদ লেগেই থাকে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে রিকশা শ্রমিকদের শাররিক লাঞ্চনার শিকার হতে হয়।

    তাছাড়া কোন কোন যাত্রী যাত্রা পথে এক মিনিটের কথা বলে রিকশা থামিয়ে সময় ক্ষেপন করলেও সেই অনুপাতে ন্যায্য ভাড়া পরিশোধ করেন না। একশ্রেণীর যাত্রীর জোরপূর্বক রিকশায় উঠা, এক জায়গার কথা বলে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত যাত্রী বহনে বাধ্য করা ইত্যাদি সহ্য করে আমাদের চলতে হয়। ট্রাফিক পুলিশ কর্র্তৃক অন্যায়ভাবে মারধোর, হাওয়া ছেড়ে দেওয়াসহ অন্যান্য পরিবহণের শ্রমিক, দোকানদার, পথচারীদের সাথে কোন ঘটনা ঘটলেই ন্যায়-অন্যায় বিচার না করে রিকশা শ্রমিকদের উপর জুলুম নির্যাতন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

    যাত্রী উঠা নামার সুবিধাজনক রিকশা স্ট্যান্ডগুলোও ইজিবাইক, মিশুক, সিএনজি, মাইাক্রোবাস, হকার, ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে দোকান বা মার্কেটের সামনে রিকশা রাখতে হয়। ফলে একদিকে যেমন দোকান বা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সমস্যা হয় অন্যদিকে রিকশা শ্রমিকদের সংশ্লিস্টদের তাড়া খেয়ে চলতে হয়। এমতবস্থায় বেঁচে থাকার তাগিদেই রিকশা শ্রমিকদের সংগঠিত হয়ে জুলুম-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সভায় মহান মে দিবস পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।