দেদারছে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল যৌন উওেজক ট্যাবলেট

    0
    363

    নবীগঞ্জ  প্রতিনিধিঃ  নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের ভেজাল  ও অনুমোদনহীন যৌন উওেজক ওষুধ।যে কারণে হুমকিতে পড়েছে জন স্বাস্থ্য।  চিকিৎসকের কোন প্রকার প্রকার প্রেসক্রিপশন ছাড়াই চলছে ফার্মেসিতে এ সব ওষুধ বিক্রয়।ফার্মেসি ছাড়া গ্রামের মুদি দোকানে ও বিক্রি হচ্ছে যৌন উওেজক এ ওষুধ। তা ছাড়া এ সব নিম্নমানের  অনুমোদনহীন  ওষুধ সেবনের ফলে স্টোক ও কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ছে। দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে দৃষ্টি শক্তি  ও স্মৃতি শক্তি কমে যায়।তা ছাড়া এতে লিভার ও নার্ভ ড্যামেজ হওয়ার আশংকা থাকে।সরেজমিন দেখা যায়,নবীগঞ্জ পৌরসভার একটি টিন শেডের দোকানে প্রকাশ্যেই সাজানো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের যৌন উওেজক ওষুধ।

    পরিচয় গোপন রেখে ওযুধ কিনতে চাইলে তিনি প্রায় পাঁচ থেকে ছয় প্রকার ওষুধ দেখান।যার মধ্যে রয়েছে যৌন উওেজক ফাইটন সিরাপ, জিংসিন,হর্স পাওয়ার,পিল- আর ও হারবাল জাতীয় মুকাব্বি খাছ,হাইসোক্যাল,আইবেরিসহ অনেক ওষুধ। ফার্মেসির মালিক এসএসসি ও পাস করেন নাই এবং এই ফার্মেসি দশ পনর বছর আগে।দোকানের ও কোন অনুমোদন নেই।তবে এই ওষুধের অধিকাংশই ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা দোকানে এসে বিক্রয় করেন।মাঝে মধ্যে ওযুধের চাহিদা অনুযায়ী তিনি সিলেট ও হবিগঞ্জের ফার্মেসি থেকে ক্রয় করেন।তিনি বলেন, সিলেট ও হবিগঞ্জ শহরে অনেক ফার্মেসিতে অবাধে বিক্রয় হচ্ছে এ সব ওষুধ।

    তাছাড়া তার ফার্মেসি এই যৌন উওেজনাকর ওষুধ  প্রথম থেকে বিক্রয় করেন।তাদের চাহিদা ও অনুরোধে তিনি এই ধরনের যৌন উওেজক বিক্রয় করছেন।এসব ওযুধ বাকিতে বেশি বিক্রয় করেন এবং এিশ থেকে তিনশ টাকা পর্যন্ত দাম নেন।যৌন উওেজক ওষুধের একজন ক্রেতা বলেন,তিনি মাঝে – মধ্যে এ সব ওষুধ সেবন করেন।তবে তাকে কোন চিকিৎসক নির্দেশনা দেননি। তিনি কৌতূহলবশত সেবন করেন।এই ওষুধের ক্ষতিকর দিক তার জানা নেই।মুলত বাজারে রয়েছে দেশী -বিদেশিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক যৌন উওেজক ওষুধ। ক্যাপসুল পাওযার-৩০, কিং পাওয়ার ওয়েল, ফওলাদ, মুনইশ পাওয়ার ওয়েল,এনজয় পাওয়ার ওয়েল,পেইনস ম্যাসাজ ওয়েল,ডি বাজি করন, ভিগোসা,লুমিসেক,ডেফরল,ভিটামিন বি-৫০, ক্যালসিয়াম -ডি,ভারতীয় যৌন উওেজক ট্যাবলেট সেনেগ্র ও টার্গেট সহ নানা ধরনের ওষুধ বিক্রয় হচ্ছে।

    নবীগঞ্জ হাসপাতালের ডাঃ আব্দুস সামাদ বলেন,যৌন উওেজক ওষুধ সেবনে শরীরের স্বাভাবিক ক্ষমতা নষ্ট হয়।বিভ্রান্ত হয়ে উওেজক ওষুধ খায় অনেকে।এসব ওষুধ হার্ট ব্লক ও কিডনি সমস্যার ঝু্ঁকি বাড়ায়।দীর্ঘদিন ব্যবহারে দৃষ্টি শক্তি ও স্মৃতিশক্তি কমে যায়।তাছাড়া যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর। এতে লিভার  ও নার্ভ ড্যামেজ হওয়ার আশংকা আছে।