দূতাবাস কর্মকর্তা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড১ যাবজ্জীবন৩

    0
    199

    আমার সিলেট  24 ডটকম,১৮নভেম্বরঃ বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় আপিল আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামির মধ্যে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট,বাকি তিনজনকে যাবজ্জীবন এবং পলাতক এক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।রাষ্ট্রপক্ষে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আবেদন এবং আসামিদের আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ আজ সোমবার এই আদেশ দেন।রায়ে আপিল খারিজ করে আসামি সাইফুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমতি দেয় হাই কোর্ট। সাইফুল বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

    খালাস দেয়া হয়েছে পলাতক আসামি সেলিম চৌধুরীকে, যার পক্ষে রাষ্ট্রের নিয়োগ করা আইনজীবী হাই কোর্টে শুনানি করেছিলেন।আদালতে ফাঁসির আদেশ পাওয়া মো. আল আমীন, আকবর আলী লালু ও রফিকুল ইসলামের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তারাও কারাগারে রয়েছেন।হাই কোর্টের রায়ের পর আপিল বিভাগে স্পেশাল লিভ পিটিশন না দিলে এই রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ২১ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান রয়েছে। তবে তার আগে আসামিরা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পান।

    ঘটনা,গতবছরের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানে নিজের বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী (৪৫)। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।খালাফ হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর পুলিশ গুলশান থানায় এতনা,হত্যা মামলা দায়ের করে। আর সাড়ে চার মাস পর চারজনকে গ্রেপ্তার করে, যাদের পরিচয় দেয়া হয় “ছিনতাইকারী” হিসাবে।মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. ওবায়দুল হক গত ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়ার পর ৩১ অক্টোবর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে  বিচারিক আদালত।মামলার বিচারে আসামি আল আমীন বিচারকের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, সাইফুলসহ বাকি চারজন ওই রাতে খালাফকে ঘিরে ধরেন এবং তার কাছে ডলার চান।ডলার না দেয়ায় তাদের মধ্যে ধস্তাধাস্তি হয়। পরে সাইফুল তার হাতে থাকা রিভলবার দিয়ে খালাফকে গুলি করে পালিয়ে যান।তদন্ত কর্মকর্তা এ কথাগুলো অভিযোগপত্রেও উল্লেখ করেন।

    তবে গ্রেপ্তার চার আসামি পরে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন এবং ন্যায়বিচার প্রার্থনা করে।রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় মোট ৩৩ জন সাক্ষ্য দেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারিক আদালত গত ৩০ ডিসেম্বর পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।রায়ের পর আসামিরা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন।  অন্য দিকে কারা কর্তৃপক্ষ নিযম অনুযায়ী দণ্ড কার্যকর করতে হাই কোর্টের অনুমতি চায়।১ অগাস্ট হাই কোর্ট এ বিষয়ে শুনানি শুরুর পর গত ৩ নভেম্বর তা শেষ হয়।ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. খোরশেদুল ইসলাম।আর কারাগারে থাকা চার আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খবীর উদ্দিন ভূঁইয়া ও আমিনুর রশিদ রাজু। পলাতক আসামি সেলিম চৌধুরীর পক্ষে আদালত নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মাহমুদা ।