দু’শ বছরে মসজিদ খুলে দিতে রাজী হলেও সপ্তাহে ৩দিনের জন্য

আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে মসজিদটি নির্মিত হয়ে থাকলেও এতোদিন চরমপন্থী খৃষ্টানদের উগ্রতা ও বিরোধিতার কারণে তা নিথর পড়েছিলো। বারবার তারিখ ঘোষণা করেও তা মুসল্লিদের জন্যে খুলে দেয়া সম্ভব হয়নি।

উদ্বোধনের পর, এটিই হবে এথেন্সের প্রথম ও একমাত্র মসজিদ। ২০১৬ সালের অক্টোবরে দেড়শ বছরের ভেতরে এই প্রথম গ্রীসের রাজধানী এথেন্সে একটি মসজিদ নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলো দেশটির সংসদ। এথেন্সের প্রায় আড়াই লাখ মুসলমানের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ঐ অনুমোদন দেয়া হয়।

অনুমতিও খুব সহজে মেলেনি, বরং ব্যাপক বিরোধিতার মাঝে সংসদে এ বিল পাশ হয়েছিলো। ক্ষমতাসীন জোটের সিরিজা পার্টি বিলের পক্ষে ভোট দিলেও বিরোধিতা করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট গ্রিকস পার্টি। শেষ পর্যন্ত ২৩০ আসনের সংসদে দু’শর বেশি ভোট পেয়ে বিলটি পাস হয়।

১০ লাখ ইউরো খরচ করে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে – যার পুরোটাই বহন করেছে সরকার। মসজিদটি কবে নাগাদ খুলে দেয়া হবে, তা নিয়ে এতোদিন ছিলো বিরোধিতা ও বিতর্ক।

শেষতক আগামী এপ্রিলে মসজিদটি মুসমানদের জন্যে খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গ্রীসের ধর্মমন্ত্রী জর্জ কাল্যান্টিজিস। তিনি বলেছেন: এই মসজিদটির উদ্বোধনের পর, শুক্রবারসহ প্রতি সোমবার ও বুধবার নামাজ পড়া যাবে। একজন ইমামও থাকবেন নামাজ পড়ানোর দায়িত্বে। তবে সপ্তাহের অন্যান্য দিন মসজিদটি খোলা থাকবে না। শুধু মুসলমানরাই সেখানে ইবাদত করতে পারবেন। এজন্য মুসলমানদেরকে দেয়া হবে আলাদা কার্ড। ইমাম সাহেব ইংরেজি বা গ্রিক ভাষায় খুতবা দেবেন। সূত্র: জর্দানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আসসাওসানা ইসলাম ও অন্যান্য।