দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের সর্দারসহ শ্রীমঙ্গল পুলিশের অভিযানে আটক-৫

    0
    328
    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ “মৌলভীবাজার জেলাসহ শ্রীমঙ্গলবাসীকে শান্তিতে ঘুম উপহার দিতে জেলা পুলিশের নির্ঘুম তের দিন রাত্রির জেলা থেকে জেলায় নিরলস ছদ্মবেশের আভিযানিক বর্ণনা থেকে জানা যায় মোট ২৩ টি মামলার আসামী দুর্ধর্ষ আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সর্দার ও মৌলভীবাজার জেলায় একের পর এক ডাকাতি করার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ফজর আলী প্রকাশ বটুনকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার সাথে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের অভিযানে আরও কয়েকজনকে একই অভিযোগে গ্রেপ্তার  করা হয় বলে জানা যায়।
    ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ০২/১১/২০২০ তারিখে রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের মিশন রোডস্থ গ্রামের ভাড়াউরা চা বাগানের এক আধিবাসীর বাড়িতে রাত প্রায় আড়াইটায় একদল অপরাধী বাড়িতে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়।জানামাত্রই জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযান টিম মাঠে নামে। গোপন তদন্তে জানা যায় এই ঘটনার মূল হোতা হবিগঞ্জের ডাকাত ফজর আলী এবং তার সিন্ডিকেট। পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসনের সার্বিক সমন্বয়ে বিরতিহীন নির্ঘুম ১৩ দিনের অভিযানের এক পর্যায়ে গত ১৫ /১১/২০২০ তারিখে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, মৌলভীবাজার এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক পরিমল চন্দ্র দেব এর একটি বিশেষ টীম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানায় এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ঘটনার মূল হোতা কুখ্যাত আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার ফজর আলী প্রকাশ বটুনকে (২৫) পলায়নরত অবস্থায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
    উক্ত অভিযানের সময় চুনারুঘাট থানার পুলিশ সহায়তা করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত উক্ত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে বিচারের জন্য সোপর্দ করা হয়।
    উল্লেখ্য ইতিমধ্যে উক্ত ঘটনায় জড়িত অপর ৫ জন আসামীও শ্রীমংগল থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার কৃতরা হলো- ফয়সল মিয়া,পিতা জমির আলী, উপজেলা মাধবপুর, হবিগঞ্জ, সুমন মিয়া,পিতা কোরবান আলী, উপজেলা শ্রীমংগল, মৌলভীবাজার, মোঃ শাহ আলম নিয়া,পিতা খালেক মিয়া,উপজেলা শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সয়ফুল মিয়া,পিতা আবু শামা, উপজেলা বানিয়াচং, হবিগঞ্জ এবং স্বপন মিয়া, উপজেলা শায়েস্তাগঞ্জ, হবিগন্জ জেলা। পুলিশের সুত্রে আরও জানা যায় “জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ফজর আলী এবং তার দল মৌলভীবাজার জেলায় একের পর এক ডাকাতি সংগঠনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলো।”
    অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে শীত মৌসুমে মৌলভীবাজারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে থাকে। গত বৎসর পুলিশের কঠোর নজরদারি এবং জনগণের সাথে কাঁধ মিলিয়ে কর্মতৎপরতার কারণে সাতটি থানার মধ্যে ছয়টি থানায় কোন প্রকার ডাকাতি সংঘটিত হয়নি বলে পুলিশ জানান। শুধুমাত্র সদর থানায় দুটি ডাকাতি হয়েছিল। করোনার কারণে এবং গত বৎসর ডাকাতি করতে না পারায় বিভিন্ন গোপন সূত্রে জানা যায় ডাকাতদল এবার শীতের আগমন ঘটতে না ঘটতেই সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছে।সেজন্য শুরু থেকেই আমরা জোরদার কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই। কিন্তু চাহিদার তুলনায় জনবল ও যানবাহনের ঘাটতি থাকায় “পুলিশ-জনতা” এর যৌথ প্রয়াসে গতবারের ন্যায় আমরা কাজ করে যাবে অঙ্গিকার পুলিশের।
    অপরদিকে, শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ অফিসার আব্দুস ছালিক আমার সিলেট প্রতিনিধিকে বলেন, প্রাপ্ত স্বীকারোক্তি ও তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়,ডাকাত সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিভিন্ন ছোটখাটো ব্যবসার নামে বিভিন্ন এলাকার বাড়ী বাড়ী গিয়ে বাড়িতে কে কে আছে রেকি করে আসে। আশপাশের লোকজনের অবস্থা জেনে গিয়ে রাতের আঁধারে দল বেঁধে ডাকাতি করে। এলাকাবাসীর প্রতি যে কোন ফেরিওয়ালাদের প্রতি নজর  রেখে সতর্ক থেকে যে কোন তথ্য পেলে তাৎক্ষনিক পুলিশকে  খবর দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন তিনি।