দীর্ঘ ৫বছর পর দেশে ফিরেছে পাচার হওয়া ৭৪ তরুনী

    0
    264

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩জুলাই,এম ওসমান: ওরা বাঁচতে চাই নরক যন্ত্রনায় কুরে খেয়েছে ওদের দেহ। আর যেতে চাইনা ভারতের বোম্বে। দেশেই থাকত চাই ওরা। করুণ আর্তনাদ ভারতের বোম্বের বিভিন্ন নিষিদ্ধ পল্লি থেকে দেশে ফেরা তরুনীদের। ওরা শাস্তি চাই পাচারকারীদের। লোমহর্ষক কাহিনী জানান দেশে ফেরা এসব তরুনীরা।

    মিথ্যা আশ্বাসে ভালো কাজের প্রলোভনে প্রতারিত হয়ে ভারতে পাচার হওয়া ৭৪ তরুনী দীর্ঘ ৫বছর পর বৃহস্পতিবার সন্ধায় বেনাপোল স্থল পথে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতের বনগাঁ মহাকুমা পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ। বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে গ্রহন করে পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায় ভারত সরকার।
    ফেরত আসা তরুনীদের বাড়ি যশোর. নড়াইল, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, ঢাকা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন অ লে বলে জানায় ইমিগ্রেশন ওসি আসলাম হোসেন খান।
    বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন ওসি আসলাম খান জানান, সাংসারিক অস্বচ্ছলতাসহ বিভিন্ন কারনে গত ৩ থেকে ৫ বছর আগে দালালের খপ্পড়ে পড়ে মিথ্যা আশ্বাসে ভালো কাজের প্রলোভনে প্রতারিত হয়ে সীমান্ত পথে ভারতে যায় এসব নারীরা।

    বিউটি পার্লার, স্কুল, বাসাবাড়ী, নার্সারীসহ বিভিন্ন নাম করে দালাল চক্র তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে বোম্বের নিষিদ্ধ পল্লীতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করে তাদের। কয়েক জনকে বাসা বাড়ী, হোটেল-রেস্তরাসহ অন্ধ জগতে ঠেলে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ মোম্বাই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে জেল হাজতে পাঠায়।
    ভারতের রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের জেল থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরবর্তীতে দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফের তারা।
    পাচারের শিকার নারীরা যদি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় তাহলে তাদের আইনি সহয়তা করবেন বলে জানান যশোর রাইটস এর নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক পুলিশ ও সমাজের প্রভাবশালী কিছু মানুষ পাচারকারীদের পক্ষ নিয়ে কাজ করায় পাচার মামলা আলোর মুখ দেখছে না। এতে ধরা ছোয়ার বাইরে থাকছে পাচারকারীরা বলে জানান তিনি।
    বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি সমিতি যশোর শাখার প্রগ্রাম অফিসার এ্যাড: নাসিমা খাতুন বলেন, ওদেরকে পূনর্বাসনসহ আইনী সহায়তা দেওযা হতে পারে।
    পাচারের শিকার হয়ে দেশে ফেরা এক নারী বলেন, আমাদের বিউটি পার্লারের নাম করে বোম্বে নিয়ে খারাপ কাজ করিয়েছে। সে দিনের স্মৃতি ভীষন বেদনাদায়ক বলতেই চোখের পানি ছেড়ে দেয়।
    সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্মৃতি আক্তার বলেন একই কথা। নরক যন্ত্রনায় কুরে খেয়েছে তাদের দেহ। কোন বাধা অনুরোধ মানেনি কেহ। সবাই চাই দেহ-আর যেতে চাইনা ভারতের বোম্বে। দেশেই থাকত চাই ওরা বলতেই কেঁদে ফেলে সে।