সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ প্রতিশ্রুতি ও ওয়াদা না করে তিনটি গ্রামের দীর্ঘদিনের জনদূভোগের সমাধান করে দিলেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদ জনগনের সমর্থীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ হোসাইন। তিনি বালিজুরী ইউনিয়নের মাহতাবপুর থেকে পিরোজপুর হয়ে বাদাঘাট ইউনিয়নের মল্লিকাপুর গ্রাম পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক নিজ অর্থায়নে মাটি ফেলে সড়ক নির্মান কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে এই সড়কের প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সমজিদ ও মন্দিরের উন্নয়নের স্বার্থে অর্থ সহায়তা করেছেন।
ভোক্তভোগীরা বলেন,একটা রাস্তা বল্লে ভুল হবে এটা এলাকাবাসীর স্বপ্ন,এটা দক্ষিণকুল,পিরিজপুর মাহতাবপুরবাসীর স্বপ্ন।অনেক জনপ্রতিনিধি আসছে পাস করলে রাস্তা করে দিবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে,কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নাই। পেটে ক্ষুধা নিয়ে রাজনীতি আর ক্ষমতায় আসলে জনমানুষের কথা মাথায় থাকে না। ছাত্রজীবন থেকেই এলাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, হত-দরিদ্র জনগণকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে এলাকার সকলের প্রাণ ছুঁয়েছেন আজাদ হোসাইন।
ভোটারগন বলেন,বালিজুরি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চা দোকান থেকে শুরু করে প্রতিটি অলি-গলিতে চলছে৷ চেয়ারম্যান প্রার্থী আজাদ হোসাইনকে নিয়েই আলোচনা ভোটাদের মধ্যে। তারা বলছেন আমরা যাকে সুখে দুঃখে আমাদের মনের কথা বলতে পারব পাশে পাব আমরা দল মত নির্বিশেষে সবাই থাকে ভোট দেব। আর আজাদেই আমাদের একমাত্র প্রার্থী যাকে বিপদে আপদে সব সময় পাশে পেয়েছি তাই তার বিজয় হবেই এবার।
আজাদ হোসাইন বলেন,অবেহেলিত ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, আল্লাহ আমাকে অনেক দিযেছেন, আমি জনগনের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে অবহেলিত ভাঠি অঞ্চলের উন্নয়নে শরীক হতে চাই। তিনি আরও বলেন, এই ইউনিয়ন কে সন্ত্রাস মুক্ত“ক্রীড়া মুখি তরুণ সমাজ ও মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে যুবকদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই এবং এলাকায় আগামীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এলাকার উন্নায়নে নিজেকে সবসময় সচেষ্ট রাখব এটাই আমার অঙ্গীকার। করোনাকালীন সময়ে জনপ্রতিনিধি না হয়েও এলাকার একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে কর্মহীন ও অসহায়দের সাথে ছিলাম, আগামীতে এলাকার অবেহেলিত ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।
বালিজুরি ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজ সেবক কয়েস মিয়া বলেন,এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য আজাদ হোসাইন এর বিকল্প নেই। কারন তিনি এই এলাকার লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাদের দুবেলা দুমোটো ভাত খাওয়ার ব্যাবস্থা করে মানুষের মুখে হাসি ফিরিয়ে দিয়েছেন। জনগন তাকে এবার বিপুল ভোটের মাধ্যমে বিজয় নিশ্চিত করবে।
শফিক মিয়া বলেন, আজাদ হোসাইন একজন প্রতিবাদী এবং পরোপকারী। তারমতো মিষ্টভাষী, সৎ ও ন্যায় পরায়ণ একজন ব্যক্তিকে এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে বড়ই প্রয়োজন। বালিজুড়ী ইউনিয়নের সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে তার বিজয় নিশ্চিত করে বিজয়ের মালা পরিয়ে দেব এবার।