তুর্কি পাঠানোর কথা বলে ইরানে আটকে নির্যাতন,থানায় অভিযোগ

    0
    538
    নূরুজ্জামান ফারুকী নবীগঞ্জঃ  নবীগঞ্জের বরকতপুর গ্রামের পারভেজ মিয়া নামে এক যুবককে তুর্কি পাঠানোর নামে ইরান আটকে নির্যাতন ও দালাল আরো টাকা দাবী করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই গ্রামের মৃত আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী ও পারভেজ মিয়ার মা শেফুল বেগম নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হচ্ছে একই উপজেলার জাহিদপুর গ্রামের মৃত মাম্মদ আলীর পুত্র আবু মিয়া (৩৭) ও মহিবুর রহমান মবু (৩৫)।
    অভিযোগে জানা যায়, পারভেজ মিয়াকে তুর্কি দেশে পাঠানোর কথা বলে ইরান দেশে আটকে রেখে দালাল কর্তৃক নির্যাতন করে নির্যাতনের ছবি বাংলাদেশে পারভেজ মিয়ার মায়ের কাছে প্রেরণ করে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা আদায়ের পরও মুক্ত করে না দেওয়ায় ভুক্তভোগীর মা বরকতপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী শেফুল বেগম বাদী একই ইউনিয়নের জাহিদপুর গ্রামের মৃত মাম্মদ আলীর দুই পুত্র আবু মিয়া (৩৭) ও মহিবুর রহমান মবু (৩৫) এর বিরোদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    অভিযোগে জানা যায়, অভিযুক্ত আবু মিয়া তুর্কিতে অবস্থান করেন। প্রায়ই সে পারভেজের সাথে আলাপ করে তাকে তুর্কি যেতে উৎসাহিত করে আবু। পারভেজ তুর্কি গিয়ে টাকা পরিশোধ করতে পারবে বলে জানায় আবু মিয়ার ভাই মহিবুর রহমান মবু। এর প্রেক্ষিতে আবু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করে গত ২৮ আগষ্ট ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে পারভেজকে ট্যাক্সিতে তুলে তুর্কির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় আবু মিয়া। এর ২ দিন পর গত ৩০ আগষ্ট মোবাইল ফোনে পারভেজ তার মা সেফুল বেগমকে জানায় আবু দালাল তাকে একটি অন্ধকার ঘরে বন্ধি করে রেখেছে। এখানে আফগানী ও ইরানী মাফিয়ারা তাকে মারধর করছে। এ অবস্থায় সেফুল বেগম আবুর ভাই দেশে অবস্থানরত মহিবুর রহমান মবুর সাথে যোগাযোগ করলে সে জানায় দালালদের টাকা দিতে হবে। টাকা না পারভেজ মারা গেলেও আমার কোন দোষ নাই। মবুর কথামত গত ৩১আগষ্ট দুইবারে সেফুল বেগম বিকাশে তুর্কিতে আবু মিয়ার নিকট ১৫ হাজার টাকা এবং বিগত ২ সেপ্টেম্বর আরও ১০ হাজার টাকা আবু মিয়ার নিকট প্রেরন করেন। পরে মবুর নিকট নগদ ৩০ হাজার টাকা সর্বমোট ৫৫ হাজার টাকা দেয়ার পরও পারভেজ মিয়াকে বন্ধী দশা থেকে ছাড়া হয়নি। মবুর সাথে যোগাযোগ করলে সে আরও ৩০ হাজার টাকা দাবী করে। এ অবস্থায় নিরূপায় হয়ে পারভেজ মিয়ার মা সেফুল বেগম আবু মিয়া ও মুহিবুর রহমান মবুর বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
    অভিযোগের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার এসআই সমিরন চন্দ্র দাশ সরেজমিন অভিযোগটি তদন্ত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে বাদী এবং বিবাদী পক্ষে সাথে যোগাযোগ করেছি। বাদী তার দাবী স্বপক্ষে কোন ডকুমেন্ট উপস্থাপন করতে পারেননি। মৌখিক আলোচনার ভিত্তিতে পারভেজকে তুর্কি নেয়ার চুক্তি হয়। বিবাদী পক্ষের সাথে আলাপ হয়েছে। তারা পরস্পরের মধ্যে আলোচনাক্রমে বিষয়টি সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন।