তিন দিন ব্যাপী সিলেটের গোয়াইনঘাটে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড়

    0
    311

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬ফেব্রুয়ারী,রেজওয়ান করিম সাব্বিরঃ গ্রামবাংলার ঐহিয্যবাহী খেলার অন্যতম খেলা হল ঘোড়ার দৌড় (ঘোড় দৌড়) প্রতিযোগিতা। প্রতি বৎসরের ন্যায় সিলেটের যে কয়েক টি উপজেলায় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় তার মধ্যে একটি উপজেলা সিলেটের গোয়াইনঘাট। প্রতিবারের ন্যায় এবারও ঐতিহ্যের টানে ঝাঁক ঝমকপূর্ণ ভাবে তিন দিন ব্যাপী এ খেলা অনুষ্টিত হল।
    সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় গোয়াইনঘাট উপজেলার ৫নং আলীরগাঁও ইউনিয়নের হাজরাই মাঠে গত ৪ ফেব্র“য়ারী হতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বারহাল এলাকাবাসী। গতকাল ৬ফেব্র“য়ারী দুপর ১টায় আনুষ্ঠানিক ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার ফাইনাল দৌড় অনুষ্টিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা হতে প্রায় ৮০টি ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে। বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে দৌড়ে অংশ গ্রহন করে তারা পর্যায়ক্রমে তারা ফাইন্যাল খেলায় অংশ গ্রহন করে।

    বিভিন্ন ইভেন্টের ৮০টি ঘোড়া দৌড় সমাপ্ত করে সর্বশেষ ফাইন্যালে বাংলার হিরো, সোনার বাংলা এবং ইংল্যান্ড নামক তিনটি ঘোড়া অংশ গ্রহন করে। দুপুর ১২টায় ফইন্যাল দৌড়ে সোনার বাংলা ১ম স্থান, ইংল্যান্ড ২য় স্থান এবং বাংলার হিরো তৃতীয় স্থান অর্জন করে। দৌড় প্রতিযোগিতায় রেফারী বা মূল বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন ভান্ডারী মিয়া।

    তাহার সিদ্ধানে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনকারী ঘোড়া গুলোর ১ম ও ২য় স্থান নির্বাচিত হয় এছাড়া তাহাকে আরও ১০ হতে ১২জন সহকারী বিচারক গন সহযোগিতা করেছে।

    ঐতিহ্যবাহী খেলাটি আমাদের অঞ্চল হতে দিন দিন বিলুপ্ত হতে চলছে। আমরা প্রতি বৎসর আলীরগাঁও অ লের লোকজনদের অনুমতি নিয়ে একটি মাঠে নির্বাচন করি। প্রশাসনের উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে খেলাটি পরিচালনা করি। ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করাটা অনেকটা কষ্ট সাদ্য হলেও কোন প্রকার প্রচার প্রচারনা ছাড়াই বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ঐহিয্যবাহী খেলাটি আয়োজন করি।

    এক নজর ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা দেখতে হাজার হাজার নারী পুরুষ অংশ গ্রহন করে খেলার মাঠে। সরাসরি প্রচার প্রচারনা করে খেলাটি আয়োজন করা হলে হাজরাই মাঠে কয়েক লক্ষ্য লোক সমাগম ঘটত এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন অ ল হতে ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করত বলে আয়োজক কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান।

    কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়াই খেলাটি সুন্দর ভাবে তারা সমাপ্ত করেছেন। আশা রাখি আগামীতে প্রশাসনিক অনুমতি পেলে আরও ঝাঁক ঝমকপূর্ণ ভাবে খেলাটি অনুষ্টিত হবে।

    এবিষয়ে স্থানীয় সংবাদিক মনজুর আহমদ প্রতিবেদক কে জানান- ঐহিত্যবাহী খেলাটি মূলত খেলা পিপাসুদের আনন্দ জাগাতে আয়োজন করা হয়েছে এবং প্রচার প্রচারনা ছাড়াই খেলায় এত লোক সমাগম হয়েছে তা বলার বাহিরে। এছাড়া কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা ছাড়া খেলাটি সমাপ্ত করায় এলাকাবাসীকে এবং খেলায় আগত দর্শকবৃন্দকে তার ব্যক্তিগত পক্ষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।