তাহিরপুর হাজী এলাহী বক্স বিদ্যালয়ে অর্থ আত্মসাৎ

    0
    633

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০১এপ্রিল,নিজস্ব প্রতিবেদক,সুনামগঞ্জঃ  সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বালিজুরী হাজী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নুর আলীর বিরোদ্ধে অর্থ আতœসাতের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও রয়েছে র্দীঘ দিনের নানান অনিয়মের অভিযোগ। এব্যাপারে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মাহমুদ আলী ও আছব্বির খাঁ গত ২৫শে জানুয়ারী শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব,সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান,বিদ্যালয় পরির্দশক,আ লিক উপ-পরিচালক,সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক,জেলা শিক্ষা অফিসার,তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    কিন্তু লিখিত অভিযোগের ২মাসেরে অধিক সময় পার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের বিরোদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী অভিবাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোব বিরাজ করছে।
    অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমতি ব্যতিত সভাপতি নুর আলী ও সদস্য আজিজুল ৯৭৫কেজি সরকারি বই বিক্রি,স্কুলের গাছ কেটে বিক্রি,ডোবা বিক্রি,সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে নিয়োগ বাণিজ্য করা,স্কুলের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন বরাদ্ধের টাকা ও স্কুলের তহবিল থেকে টাকা আতœসাত করেছে দীর্ঘ দিন ধরেই।
    ঐসকল অনিয়ম=দূর্নীতির কারনে গত বছরের (২০১৭সাল) ৩ই রমজান মাসে উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি ছয়ফুল আলমকে আহব্বায়ক করে সদস্য ফারুক,সাবেক ইউপি সদস্য আবুল,বালিজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক এনামুল,সোহালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল ইসলামকে সদস্য করে ৫সদস্য বিশিষ্ট্য তর্দন্ত কমিটি গঠন করেন ছাত্র-ছাত্রী অভিবাবক ও এলাকাবাসী সম্মেলিত ভাবে। শুরু হয় তর্দন্ত।

    কমিটি দীর্ঘ একমাস তর্দন্তের পর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুর আলী ও সদস্য আজিজুলের নামে আনীত অভিযোগের সত্যতা পায়। তদর্ন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলেও সভাপতি ও সদস্য আজিজুল এলাকার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদের বিরোদ্ধে কেউ কোন কথা না বলায় এই বিষয়ে কোন সমাধান হয় নি আজও।
    একাধিক সূত্রে আরো জানাযায়,ইতিপূর্বে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানকে তাদের সাথে অপকর্মে সাথে জরিত করতে না পারায় তার ইচ্ছার বিরোদ্ধে জোর পূর্বক ভাবে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষার করতে বাধ্য করে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেন। ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নুর আলী ও সদস্য আজিজুলের অর্থ আতœসাতের কারণে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ফারুক স্বেচ্চায় পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
    বালিজুরী হাজী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মাহমুদ আলী বলেন,আমি বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ব্যাবসা বাণিজ্য করে। একজন সৎ ও আদর্শ শিক্ষককে জোর পূর্বক ভাবে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেন তাদের সাথে কি আর চলা যায়।
    বালিজুরী হাজী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র অভিবাবক শফিউল আলম বলেন,সভাপতি আর সদস্য আজিজুল মিলে স্কুলটিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সাবেক প্রধান শিক্ষক (সিদ্দিকুর রহমান)স্যার থাকা অবস্থায় স্কুলে লেখা পড়ার মান যা ছিল এখন তার অর্ধেকও নেই। বালিজুরী হাজী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নুর আলী তার বিরোদ্ধে আনিত অভিযোগ শুনে বলেন,বই বিক্রি না পরীক্ষার কাগজ,পেপার বিক্রি করে থাকবে। যদিও পুরোনো বই বিক্রি করে থাকে তাহলে স্কুলের কাজেই লাগিয়েছে। অন্য সব বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি কোন ধরনের অনিয়মের সাথে জরিত না।
    উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আজিজুল বলেন,গত বছরের প্রথম দিকে কিছু পুরানো বই ও পরীক্ষার কাগজ বিক্রি করে ৬হাজার টাকা ও একটি গাছ ভেঙ্গে যাওয়ায় ২হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছিল। সেই টাকা দিয়ে স্কুলের ফ্যান কিনা হয়েছিল। অভিযোগ দিলে কি হবে প্রমান ত থাকতে হবে। আমি কোন অনিয়ম করি নাই।
    উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি ছয়ফুল আলম বলেন,ঐ সব নিয়মের বিষয়ে আমাকেসহ এলাকাবাসী ৫জনকে দায়িত্ব দিয়েছিল অভিযোগ গুলোর সত্যতা যাচাই করার জন্য সত্যতা পেয়ে এলাকাবাসীকে জানিয়েছি। কিন্তু পরির্বতির্তে এলাকাবাসী কিছু না বলায় এভাবেই আছে।
    তাহিরপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার পূনের্ন্দ দেব জানান,এ বিষয়ে খোজঁ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।