তাহিরপুর সীমান্ত চোরাচালানের নিরাপদ রোড

    0
    277

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৩ফেব্রুয়ারি,তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট,টেকেরঘাট,চাঁনপুর,লাউড়গড়,বীরেন্দ্রনগর ও চাঁরাগাঁও সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও পাথরের সাথে মদ,হেরুইন,ইয়াবা ও অস্ত্র পাচাঁর করা হচ্ছে। আজ ১৩.০২.১৮ইং মঙ্গলবার ভোর ৫টায় একদিকে ৫০মে.টন কয়লা পাচাঁর করেছে চোরাচালানীরা কিন্তু অন্যদিক দিয়ে ৫৮বোতল মদ জব্দ করলেও চোরাচালানীদেরকে আটক করেনি বিজিবি। পাচাঁরকৃত কয়লার মূল্য ৫লক্ষ টাকা ও মদের মূল্য ৭৯হাজার ৫শত টাকা।

    এ ব্যাপারে বড়ছড়া ও চাঁরাগাঁও শুল্কষ্টেশনের ব্যবসায়ীরা জানায়,উপজেলার বালিয়াঘাট ক্যাম্পের হাবিলদার ফখরুদ্দিন ও নায়েক ওলি তাদের সোর্স চাঁদাবাজি মামলা নং-জিআর-১৬৩/০৭ইং এর জেলখাটা আসামী জিয়াউর রহমান জিয়া,চাঁদাবাজি ও মদ পাচাঁরসহ ৮টি মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী ও ইদ্রিস আলীকে দিয়ে ১বস্তা কয়লা থেকে বালিয়াঘাট ক্যাম্পের ম্যাচ খরছ (খাওয়া-দাওয়া) বাবদ ৫০টাকা,হাবিলদার ফখরুদ্দিনের নামে ২০টাকা,নায়েক ওলির নামে ১০টাকা,টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইমামের নামে ২০টাকা,ডিবি পুলিশের নামে ২০টাকা, টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার সিদ্দিকের নামে ২০টাকা,সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে কয়লা পাচাঁর মামলা নং-৯,জিআর-১৫৮/০৭এর আসামী আব্দুর রাজ্জাক ৩০টাকা,সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়কের নামে ৫০টাকাসহ মোট ২৫০টাকা করে সর্বমোট ১লক্ষ ৮৭হাজার ৫শ টাকা উৎকোচ নিয়ে লাকমা গ্রামের চিহ্নিত চোরাচালানী রতন মহলদার,মানিক মহলদার,মোক্তার মহলদার, কামরুল মিয়া,শরিফ মিয়া ও তিতু মিয়া গংকে দিয়ে লাকমাছড়ার রেন্টিগাছ এলাকার ১১৯৭ ও ১১৯৮নং পিলার সংলগ্ন ৬টি চোরাইঘাট দিয়ে ৪০০বস্তা,লাকমাছড়ার পশ্চিমপাড়ের শ্রমিক সর্দার মজিবুরের বাড়ির পিছন দিয়ে ১২০বস্তা ও টেকেরঘাট উক্ত বিদ্যালয়ের পিছন দিয়ে ২৩০বস্তাসহ মোট ৭৫০বস্তার ভিতরে বিপুল পরিমান মদ,হেরুইন ও ইয়াবাসহ ৫০মে.টন কয়লা পাচাঁর করে ঠেলাগাড়ি ও ট্রলি দিয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত দুধেরআউটা গ্রামের কবরস্থানের পাশে ও পুটিয়া গ্রামে নিয়ে সোর্স জিয়াউর রহমান,ইদ্রিস আলী,আব্দুল হাকিম ভান্ডারী ও কালাম মিয়া ওপনে বিক্রি করে।

    এর আগে ভারত থেকে পাচাঁরের সময় সোর্স কালাম মিয়ার বাড়ি থেকে ১বস্তা মদ জব্দ করা হলেও এখনও পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিজিবি ও পুলিশ। অন্যদিকে চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের ১১৯৫/৪এস পিলার সংলগ্ন বাঁশতলা এলাকা দিয়ে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী শফিকুল ইসলাম ভৈরব,ফালান মিয়া ও হাসিম মিয়া কয়লার বস্তার সাথে মদ পাচাঁরের সময় অভিযান চালিয়ে ৫২বোতল অফিসার চয়েজ ও  ৬বোতল বিয়ার জব্দ করলেও চোরাচালানীদের আটক করেনি বিজিবি। যার ফলে সোর্স শফিকুল ইসলাম ভৈরব গং ১বস্তা কয়লা থেকে ২শত টাকা করে চাঁদা নিয়ে প্রতিদিন ৫০থেকে ২শত বস্তা কয়লার ভিতরে মদ পাঁচার করছে।

    এ ব্যাপারে চাঁরাগাঁও ও বড়ছড়া শুল্কষ্টেশনের ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া,শাহালম,মনির হোসেন,আব্দুল জব্বার,ফুরকান মিয়া,অজিত রায়সহ অনেকেই বলেন,চোরাচালানীরা বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা,পাথর,মদ,হেরুইন ও ইয়াবাসহ অস্ত্র পাচাঁর করে টেকেরঘাটের অসিউর রহমানের ডিপু ও চাঁরাগাঁওয়ের ৩টি ডিপুসহ সোর্স জিয়াউর রহমানের বাড়িতে ও দুধেরআউটা কবস্থানের পাশে নিয়ে ওপেন বিক্রি করছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। এব্যাপারে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার ফখরুদ্দিন বলেন,চোরাচালানের বিষয়টি আমার জানা নাই,এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখব। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসিরউদ্দিন বলেন,সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।