তাহিরপুরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল কালো বাজারে

    0
    682

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০মার্চ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সুনামগঞ্জঃ  সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় সরকারী বরাদ্ধের ১০টাকা কেজির খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল ১৩৫কার্ড সুবিধা ভোগীদের কাছে বিক্রি না করে কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে দুই ডিলারের বিরোদ্ধে। তারা হলেন,উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির দুই ডিলারের মধ্যে এক জন বাদাঘাট ওর্য়াড আ,লীগ সাবেক সভাপতি ও ডিলার মহিবুর রহমান চৌধুরী ও উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের দলিল লেখক ও ডিলার জয়নাল আবেদিন। এই খবর প্রকাশ পাওয়ারপর এলাকায় আলোচনা-সমালেঅচনার ঝড় উঠেছে।

    স্থানীয় একাধিক সুত্রে ও এলাকাবাসীর অভিযোগে জানাযায়,সরকার গরীব ও দুস্থ মানুষের সুবিধার্থে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ১হাজার ৬০জনের নামের তালিকা অনুমোদন করেন। এর মধ্যে ৯২৫টি কার্ডধারীর নিকট ঐ ডিলারগন চাল বিক্রি করেন। কিন্তু বাকী ১৩৫টি কার্ড ধারী নামে উত্তোলিত করা চাল গোপনে নিজেদের কাছে রেখে গোপনে প্রতি বারেই সরকারী ডিওর চাল বিক্রি করে কালো বাজারিদের কাছে দিগুন দামে। এর ফলে ঐ সব সুবিধা ভোগীরা সরকারের দেওয়া সুবিধা ভোগ করতে পারে নি। ফলে তাদের মাঝে চরম ক্ষোব বিরাজ করছে।

    ১০টাকা কেজি চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিতরা হলেন,উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের লাউড়েরগড় গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম (৪৩৪৮),খোকন (৪৩৫০),জাহেরা বেগম (৪৩১৪),ফারুক মিয়া (৪৩৪৯),ফয়জুর রহমান (৪৩১৫),আব্দুল মুকিত (৪৩৩৬),ছাত্তার উদ্দিন (৪৫৪৬),বিন্নাকুলি গ্রামের আব্দুল হান্নান (৪২৮০),মিনহাজ উদ্দিন (৪৪৩৯),আকলিমা (৪২১১),কুকিলা (৪২৭৭),আমজাদ আলী (৪৪৪৯),সাধনা বেগম (৪৪০৭),আরফিন (৪৪৬৮),শফিকুল (৪৪৬০),জালাল মিয়া (৪৪৪৬),নরপুর গ্রামের হিরা মিয়া (৩৯৪২),কুনাট ছড়া গ্রামের ফজলুল হক (৩৯৪৮),জুলেকা (৩৯৪৭),পাঠান পাড়া গ্রামের মোহাম্মদ জহুর (৪২২৭),শফিক (৪৩৬১০),নোয়াগাও গ্রামের আবু বক্কর (৩৭০৬),হেলেনা (৩৭০৫),নাগরপুর গ্রামের রইছ উদ্দিন (৩৭৭২),শাহাব উদ্দিন (৩৭৭৫),কামড়াবন্ধ গ্রামের মিন্টু (৪৭২৮),শফিকুল (৩৯৫১),জৈতাপুর গ্রামের রশিদ (৪৬৯৬),ঘাঘড়া গ্রামের জয়নাল অঅবেদীন (৪৭১৭),রুশনারা খাতুন (৪৫৬৫),সবুজ মিয়া (৪৭০৮),আলী হোসেন (৪৫০৩) প্রমুখ।

    এলাকাবাসী ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানায়,বাদাঘাট ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধ কর্মসূচির এই দুই ডিলার ৩০কেজি চালের বস্তা ৩শত টাকার স্থলে সুবিধা ভোগীদের কাছে ৩শত ৫০টাকা বিক্রি করেছেন। ২০১৬সালের সেপ্টেম্ভর থেকে এ পর্যন্ত ঐ ১৩৫টি কার্ডের সুবিধা ভোগীদের চাল উত্তোলন করেছে ঠিকেই কিন্তু সুবিধা ভোগীদের না দিয়ে গোপনে কালো বাজারীদের কাছে দিগুন দামে বিক্রি করে আসছে।

    সঠিক ভাবে তদন্ত করলে এর সত্যতা প্রমানিত হবে। আর যদি সরকার দলীয় লোক হওয়ার কারনে ছাড় পেয়ে যায় তাহলে ত সব কিছু শুন্য। এই বিষয়ে ডিলার বাদাঘাট ওর্য়াড আ,লীগ সাবেক সভাপতি ও ডিলার মহিবুর রহমান চৌধুরী তাদের বিরোদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমরা কোন অনিয়ম করে নি। সঠিক ভাবে চাল বিতরন করেছেন তিনি।

    উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের দলিল লেখক ও ডিলার জয়নাল আবেদিন বলেন,প্রতি চালের ৫০টাকা বেশি নেওয়া কথা  অস্বীকার করেন। সাথে সাথে তাদের বিরোদ্ধে আনা  অভিযোগ অস্বীকার করেন।

    তাহিরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আনোয়ারুল হক বলেন,চাল বিতরনের সময় আমি এখানে ছিলাম না। খোজঁ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব ডিলারদের বিরোদ্ধে ।