তাহিরপুরে এডিপি ফান্ডের সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে অনাস্থা ও বয়কট

    0
    243

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলায় এডিপি ফান্ডের টাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সমন্বয় না করায় এডিপি ফান্ডের সদস্য সচিব তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানগন অনাস্থা জানিয়ে মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা বয়কট করেন উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ।
    বুধবার (৩১জুলাই) সকালে তাহিরপুর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থিত ৭টি ইউপি চেয়ারম্যানগন এডিপি ফান্ডের ৮লক্ষ ৬৩হাজার টাকার সামগ্রী বিতরনে কেন তাদের সম্পৃক্ত করা হল না বিষয়ে জানতে চাইলে এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন,এডিপির টাকা দিয়ে উপজেলার বাদাঘাট,তাহিরপুর সদর,উত্তর বড়দল,উত্তর শ্রীপুর ও দক্ষিন বড়দল ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। আমি নিজে,সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা,সাংবাদিক ও দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে উপস্থিত থেকে সেগুলো বিতরণ করেছি।
    এসময় উপস্থিত তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন,বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিন,উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম,দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আজহার আলী ও বালিজুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুজ জহুর তালুকদার সভায় উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যানগন ক্ষোভ প্রকাশ করে তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী ও এডিপি ফান্ডের সদস্য সচিব মোঃ সাইদুল্লাহ মিয়ার অপসারণের দাবি ও অনাস্থা জানান।এসময় সবাইকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বুজানোর চেষ্টা করার পরও চেয়ারম্যানগণ সমন্বয় সভা বয়কট করে বেরিয়ে যান। পরে দুপুরে আবার সভা করলেও তারা আসেননি। তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন,আমার ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক উন্নয়ন তহবিলের টাকা দিয়ে বিভিন্ন আসবাব পত্র দেয়া হয়,অথচ আমাকে জানানো হয় না। তাই আমরা এর কারনেই মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা বয়কট করি।
    এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসিফ ইমতিয়াজ বলেন,এডিপি ফান্ডের টাকা দিয়ে সামগ্রী বিতরন বা ক্রয়ে যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে চেয়ারম্যানরা চাইলে বিষয়টি তর্দন্ত করা হবে। এডিপি ফান্ডের সদস্য সচিব তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানগন অনাস্থা ও অনিয়মের অভিযোগ দিয়েছেন।
    এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাইদুল্লাহ মিয়া বলেন,বন্যার সময় ঠিকাদারের মাধ্যমে ব্রে গুলো তৈরী করে ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সঠিক ভাবেই বন্টন করা হয়েছে।
    তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন,গত মাসের সমন্বয় সভার সিদ্বান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্রে বানানো হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় আমরা ৫ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রে গুলো বন্টন করি। তাদের কে আমরা কোন কিছুই জানাই নি তা মিথ্যে। তা ছাড়া সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার মত কোন ঘটনা আজ ঘটেনি কেন তারা চলে গেলেন তা তাদের বিষয়। আমি আশা করি চেয়ারম্যানগন দেশ ও জনগনের উন্নয়নের স্বার্থে সভায় যোগ দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবার পাশে থেকে কাজ করবেন।