তাহিরপুরে ইয়াবা বিক্রির টাকা নিয়ে সংঘর্ষ

    0
    229

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ইয়াবা বিক্রির টাকা নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। তবে এঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হয়নি। কিন্তু প্রশাসনের নজরধারী না থাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নিজেদেরকে পুলিশ ও বিজিবির সোর্স পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

    এব্যাপারে এলাকাবাসী জানায়,উপজেলার উত্তরশ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা নতুনপাড়া গ্রামের মৃত শফি মেস্তুরীর ছেলে অস্ত্র মামলার আসামী ল্যাংড়া বাবুল,একই গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে চোরাচালানী কামরুল মিয়া,কাসেম মিয়ার ছেলে দিলোয়ার মিয়া,দুধেরআউটা গ্রামের নুরজামালের ছেলে চাঁদাবাজি মামলার জেলখাট আসামী জিয়াউর রহমান জিয়া,তার সহযোগী ইয়াবা মামলার জেলখাটা আসামী মাদক সম্্রাজ্ঞী আংগুরী বেগম,লালঘাট গ্রামের বানু মড়লের ছেলে একাধিক মাদক মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,তার সহযোগী কয়লা ও মাদক পাচাঁর মামলার আসামী জানু মিয়া ও বাবুল মিয়াগং দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় ওপেন ইয়াবা,মদ,গাঁজা,অস্ত্র ও চোরাই কয়লা,পাথরের ব্যবসা করছে।

    তারা ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রতিদিন কয়লা,মদ,গাঁজা,অস্ত্র ও ইয়াবা পাচাঁর করাসহ সুনামগঞ্জের বাধেরটেক,তাহিরপুরের বাদাঘাট বাজার,কামড়াবন্দ,শিমুলতলা,ধর্মপাশার মধ্যনগর ও মহেষখলা থেকে পাইকারী ভাবে ইয়াবা ক্রয় করে আনেন। পরবর্তীতে তাদের সহযোগী লাকমা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে সামসু মিয়া,বারেক মিয়ার ছেলে আশিক নুর ও মংলা মিয়ার ছেলে আবুল মিয়াকে দিয়ে কমিশন ভিত্তিক এলাকায় খুচরা ভাবে ইয়াবা বিক্রি করে। গতকাল ১৪.১০.১৮ইং রবিবার সকাল অনুমান ১১টায় টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থিত লাকমা বাজারে ইয়াবা বিক্রির টাকা নিয়ে ডিলার ল্যাংড় বাবুল ও তার সহযোগী খুচরা বিক্রেতা আশিক নুরের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

    পরে এলাকার লোকজন তার সমাধান দেয় কিন্তু পুলিশ ও বিজিবি এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বর্তমানে ১ পিচ ইয়াবা ১৫০টাকা থেকে ২০০টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে ল্যাংড়া বাবুলের নির্দেশে। অন্যদিকে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে দুধের আউটা গ্রামে মাদক সম্্রাজ্ঞী আংগুরী বেগম তার নিজ বাড়িতে তার গুরু ইয়াবা ডিলার জিয়াউর রহমান জিয়াকে নিয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মাদকের আসর বসায়। তবে মাদক সম্্রাজ্ঞী আংগুরী বেগমকে এই পর্যন্ত ইয়াবার চালানসহ ২বার গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হলেও তার গুরু জিয়াউর রহমান জিয়া,কালাম মিয়া,জানু মিয়া,ল্যাংড়া বাবুলসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্রশসান আইনগত কোন ব্যবস্থা না নেওয়া ফলে তারা দাপটের সাথে এলাকায় মাদকের ব্যবসা করছে।

    এব্যাপারে ল্যাংড়া বাবুল বলেন,আমি টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ইমাম ভাইয়ের সোর্স,আমাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে সরাসরি এসে কথা বলুন। চোরাচালানী কালাম মিয়া বলেন,আমি ১০বছর যাবত বিজিবি ও পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করছি,আমার বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে কিন্তু কিছুই হয়নি,অযথা লেখালেখি না করে আসুন সবাই মিলেমিশে কাজ করি। বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার দেলোয়ার বলেন,আমি কি করব সেটা আমার ব্যাপার,আপনাকে কোন তথ্য দিতে আমি বাধ্য নই।

    টেকেরঘাট ক্যাম্পের এএসআই ইমামের মোবাইল নাম্বারে বারবার ফোন করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান বলেন,মাদকের সাথে কোন আপোষ হবেনা,এএসআই ইমামের ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।