ডেসটিনির বিরুদ্ধে অভিযোগের চার্জশিট আদালতের আমলে

    0
    216

    আমারসিলেট24ডটকম,১১জুনঃ মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনির বিরুদ্ধে চার হাজার ১১৯কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা দুটি মামলায় চার্জশিট আমলেনিয়েছে আদালত।
    আজ বুধবার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ জহুরুল হক ওই চার্জশিট দুটিআমলে নেন। একই সঙ্গে বিচারক জেলহাজতে থাকা আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করারপাশাপাশি পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
    গত ৫ মে রোববার দুদকের উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার ওই চার্জশিট দুটি সিএমএম আদালতে দাখিল করেন।চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোঃ রফিকুল আমীন, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, সাবেকসেনাপ্রধান ও ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট লে. জেনারেল (অব.)হারুন-অর-রশিদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোফরানুল হক, পরিচালক মেজবাহউদ্দিন, ফারাহ দীবা, সাঈদ-উর-রহমান, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, জমশেদ আরা চৌধুরী, ইরফান আহমেদ, শেখ তৈয়বুর রহমান, নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া, এসএম আহসানুল কবির, জুবায়ের হোসেন, মোসাদ্দেক আলী খান, আবদুল মান্নান, আবুল কালাম আজাদ, আজাদ রহমান, মোঃ আকবর হোসেন সুমন, সাঈদুলইসলাম খান (রুবেল), মোঃ সুমন আলী খান, শিরীন আকতার, রফিকুল ইসলাম সরকার, মোঃ মজিবুর রহমান, লে. কর্নেল (অব.) মোঃ দিদারুল আলম, ড. এমহায়দারুজ্জামান, মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, কাজী মোঃফজলুল করিম, মোল্লা আলআমীন, মোঃ শফিউল ইসলাম, মো. জিয়াউল হক মোল্লা, সিকদার কবিরুল ইসলাম, মোঃ ফিরোজ আলম, ওমর ফারুক, সুনীল বরণ কর্মকার ওরফে এসবি কর্মকার, ফরিদ আকতার, এস সহিদুজ্জামান চয়ন, আবদুর রহমান তপন, মেজর (অব.) সাকিবুজ্জামান খান, এসএমআহসানুল কবির (বিপ্লব), এএইচএম আতাউর রহমান রেজা, গোলাম কিবরিয়া মিল্টন, মোঃ আতিকুর রহমান, খন্দকার বেনজীর আহমেদ, একেএম সফিউল্লাহ, শাহ আলম, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মিসেস জেসমিন আক্তার (মিলন) ও মোঃ শফিকুল হক।

    আসামিদের মধ্যে এমডি মোঃ রফিকুল আমীন, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, লে.কর্নেল (অব.) মোঃ দিদারুল আলম ও  মোঃ জিয়াউল হক মোল্লা কারাগারে আছেন এবংএকমাত্র আসামি লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ পলাতক আছেন। ছাড়াচার্জশিটভুক্ত অপর ৪৬ জন আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তকর্মকর্তা গ্রেফতারি ও ক্রোকি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন।
    প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ মোজাহার আলী সরদার ওসহকারী পরিচালক মোঃ তৌফিকুল ইসলাম মামলা উক্ত আসামিরাসহ ২২ জনের বিরুদ্ধেদুটি দায়ের করেন।
    মামলায় ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন ওডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে প্রায় চার হাজার কোটিসংগ্রহ করে। কিন্তু বর্তমানে তাদের পৃথক দুটি অ্যাকাউন্টে ৫৬ লাখ ও চারকোটি ৮৭ লাখ টাকা আছে। বাকি তিন হাজার ২৮৫ কোটি টাকা তারা মানি লন্ডারিংয়েরমাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে বলে মামলা দুটিতে অভিযোগে বলা হয়েছে।
    মামলায় ডেসটিনির এমডি মোঃরফিকুল আমীন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আসামি বর্তমানে কারাগারে আছেন।দুইটি চার্জশিটের মধ্যে ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ লি. মামলায় ১০৪ পৃষ্ঠার চার্জশিটে ৩০৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
    অন্যদিকে ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডের ৮৩ পৃষ্ঠার চার্জশিটের মামলায় ২৩৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।মামলা দায়েরের ১৮ মাসের পর ১৬ জানুয়ারি চার্জশিট অনুমোদন করে দুদক। অনুমোদনের প্রায় সাড়ে তিন মাস পর চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হলো।চার্জশিটভুক্ত ৬৫ জন আসামি মধ্যে ডেসটিনি মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ লি.মামলার চার্জশিটের ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন লিমিটেডের ১৯ জন।দুদকের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর  কবির হোসেন জানিয়েছেন, ১৪ জন আসামিরয়েছেন যারা দুইটি চার্জশিটেরই আসামি তাই সে হিসেবে আসামির সংখ্যা ৫১ জন।