ডিএনএ তথ্যভাণ্ডার তৈরিঃআইন ভাঙলে ৭বছর কারাদণ্ড

    0
    552

    আমারসিলেট24ডটকম,২৫নভেম্বরঃ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে  অপরাধী চিহ্নিত করা, পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নিরূপণ কিংবা মৃতদেহ শনাক্ত করার মতো কাজে ডিএনএ পরীক্ষা ও সংরক্ষণের বিষয়টি আইনি কাঠামোর মধ্যে আনতে আইন করার প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে দেশের মন্ত্রিসভা। এ কাজে আইন ভাঙলে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত খসড়ায়। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে ডি-অক্সি-রাইবোনিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) আইন, ২০১৩ এর খসড়ায় এই আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে । তবে আপাতত নির্বাচনের আগে সংসদ বসার সম্ভাবনা কম থাকায় এ আইন পাসের জন্য নির্বাচনের পর নতুন সংসদে তুলতে হবে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদসচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সাংবাদিকদের জানান, ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি পরীক্ষাগার থাকলেও এ বিষয়ে কোনো আইন ছিল না।কীভাবে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে, এ পরীক্ষার ডেটাবেইস কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে, পরীক্ষার পদ্ধতি, পরীক্ষার গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ, ল্যাবরেটরির মান, প্রশাসনিক ব্যবস্থা সব বিষয় একটি কাঠামোয় নিয়ে আসতে এ আইন করা হচ্ছে বলে সচিব জানিয়েছেন। আইনটি পাস হলে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা সরকারের অনুমোদন ছাড়া ডিএনএ পরীক্ষা বা সংরক্ষণ করতে পারবে না। প্রস্তাবিত আইন ভাঙলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান। যতাযত অনুমোদন ছাড়া ডিএনএ প্রোফাইলিং করলে দুই থেকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা, অনুমোদন ছাড়া ডিএনএর তথ্য প্রকাশ করলে তিন বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ডিএনএ নমুনা ধ্বংস, দূষিত বা নষ্ট করলে তিন থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখার বিধান করা হয়েছে। এ আইনের আওতায় একটি জাতীয় (ন্যাশনাল) তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে সবার ডিএনএ নমুনা ও তথ্য এই তথ্যভাণ্ডারে রাখা হবে। এই ডাটাবেইসের গোপনীয়তা রক্ষার কথাও প্রস্তাবিত আইনে উল্লেখ করা হয়েছে। অনুমতি ছাড়া এই তথ্যভাণ্ডারে প্রবেশ করলে দুই বছর কারাদণ্ডে এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে।