টাকা পাচার রোধে সরকার জমির মূল্য নির্ধারণ করে দেবে না

    0
    202

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,১৩মে,ডেস্ক নিউজঃ   বিদেশে টাকা পাচার রোধে সরকার জমির মূল্য নির্ধারণ করে দেবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

    সচিবালয়ে শনিবার (১৩ মে) অর্থনৈতিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।

    সরকার এলাকাভেদে ন্যূনতম জমির দাম নির্ধারণ করে দেয়। প্রকৃত অনেক বেশি দামে জমির বিক্রি হলেও জমির মালিকরা সরকারি নির্ধারিত ন্যূনতম দাম ধরে কর পরিশোধ করে থাকেন। অতিরিক্ত টাকা কালোটাকা হিসেবে বিদেশে পাচার হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

    অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘টাকা পাচার হচ্ছে জানি। টাকা পাচারের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। আমরা একটা ল্যান্ড প্রাইস ফিক্সড করে দিই কিন্তু একচুয়াল প্রাইস অনেক বেশি হয়। এই টাকা কী করবে, এটা এ দেশে ব্যবহার করতে পারে না কারণ কালোটাকা। আমরা এখন চিন্তা করছি, কোনো ল্যান্ড প্রাইস রাখব না।  বাজারই দাম নির্ধারণ করবে। এটা টাকা পাচার প্রতিরোধে কাজ করবে।’

    অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরো বলেছেন, আমাদের দেশে এখন বিনিয়োগ পরিবেশ ভালো। ২০১৫ ও ২০১৬ দুটি বছর পেয়েছি শান্তিপূর্ণ। দুটি বছরে আমাদের শ্রমিকরা প্রমাণ করেছেন তারা দেশে হরতাল ও অন্যান্য ধরনের শান্তির ব্যাঘাত সহ্য করবে না। এর ফলে একটা আস্তা এসেছে, এর সাড়াও  আমরা দেখতে পাব।’ তবে গতকালই রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বিআইডিএস মহাপরিচালক কেএএস মুর্শিদ বলেছেন, দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থার অভাবে বিনিয়োগ বাড়ছে না। একই কারণে বিদেশে অর্থপাচার হচ্ছে বলেও তিনি  মন্তব্য করেছেন।

    এ প্রসংগে ঢাকার একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর জেনারেল ম্যানেজার  মফিজ আলম রেডিও তেহরানকে বলেন, সরকারের এ ঊদ্যোগ  টাকা পাচার রোধে তেমন একটা কাজে আসবে না। তিনি মনে করেন জমি বা তৈরী ফ্লাট কেনা বেচার ক্ষেত্রে রেজিষ্টেশেন ফি কমালে সাধারন বা মধ্যম আয়ের ক্রেতারা ঊপকৃত হতে পারে।

    ওদিকে, আবাসন শিল্পের  সঙ্কটাবস্থায় কাটাতে  সরকারের আশু পৃষ্ঠপোষকতা কামনা করেছে আবাসন শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন (রিহ্যাব)। রিহ্যাব আসন্ন বাজেটে এ সেক্টরে স্বল্প সুদে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের দাবি করেছে। রিহ্যাব একইসাথে এপার্টমেন্টের রেজিস্ট্রেশন ব্যয় কমানোরও আহবান জানায়।

    আজ শনিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া  জানান, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ রেজিস্ট্রেশন ব্যয়। অন্যান্য দেশে রেজিস্ট্রেশন ব্যয় চার থেকে সাত শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন ব্যয় বেশি বলে অনেকেই রেজিস্ট্রেশন করতে চাচ্ছেন না। ফলে অপ্রদর্শিত আয়ের সমস্য থেকেই যাচ্ছে।পার্সটুডে