নড়াইল প্রতিনিধিঃ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয় এবং ভাটা এলেই জেগে ওঠে। এমন অবস্থা চলছে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ১০০ বছরের পুরানো পেড়লী বাজারে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই বাজারের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনগণ। এই সমস্যা সমাধানে নদীর তীরে বেড়িবাধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার চিত্রা ও নবগঙ্গা নদীর সংযোগস্থল ত্রিমোহনী এলাকায় গড়ে উঠেছে পেড়লী বাজার। ১০০ বছরের পুরানো এ বাজারে ২শতাধিক ব্যবসায়ী ব্যবসা করে চলেছেন। সম্প্রতি নদীর পানি বেড়ে য্ওায়ায় জোয়ারের সময় বাজার এলাকায় হাটুপানি জমে থাকে। ফলে ক্রেতারা প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা করতে বাজারে আসতে পারে না। এ পানি পাশের স্কুল ও খেলার মাঠেও প্রবেশ করছে।
বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন,সারাদির বাজার ও আশপাশের এলাকায় হাটুপানি থাকে। সন্ধ্যায় ভাটার সময় পানি নেমে যায়। কিন্তু তারপরও কিছু কিছু জায়গায় গোড়ালি পর্যন্ত পানি থাকে। এ পানি মাড়িয়ে সব সময় তাদের আসা-য্ওায়া করতে হয়।
পেড়লী বাজারের ব্যবসায়ী গোলাম মোর্শেদ বলেন,একসময় এই নদী দিয়ে বড় বড় ষ্টিমার,ল ,কার্গো চলাচল করত। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী এই বাজার হয়ে বড়দিয়া নৌবন্দরে ব্যবসা করেছে। তখন নদী গভীর থাকায় বাজারে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে পারেনি। এখন নদীর তলদেশ পলি জমে ভরাট হ্ওয়ার কারণে পানি বাজারে প্রবেশ করছে। তিনি বলেন,বাজারের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে নদী তীরে রিংবাধ নির্মাণের দাবি করেন।
স্থানীয় ফাজিল আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনি মোহন রায় বলেন,জোয়ারের পানি বাজারে প্রবেশ করা শুরু করলে আগে স্কুল ছুটি দিয়ে দিতে হত। করোনার কারণে এখন স্কুল বন্ধ। তবে স্কুলের ভেতর এবং নিচ তলার প্রতিটি কক্ষে পানি প্রবেশ করেছে। খেলার মাঠ তলিয়ে য্ওায়ায় ছেলেরা খেলাধূলা করতে পাারছে না।
কালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃ পদ ঘোষ বলেন, পেড়লী বাজার ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্মন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল কুমার সেন বলেন,বাজার সংলগ্ন এলাকায় বাধ নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবসা নেওয়া হবে।