জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন না হলে

    0
    241

    “বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত হতে পারে”

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করা না গেলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত হতে পারে।
    ২৬ জুন বুধবার  জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা জানান।  শেখ হাসিনা বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা অধিবাসীরা অসন্তুষ্টিতে ভুগছে। তাদের অনেক অভাব অভিযোগ রয়েছে। তাদের প্রত্যাবাসনে সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
    ‘মিয়ানমারের ১১ লাখের অধিক নাগরিকের জন্য অনির্দিষ্টকাল ধরে খাদ্য, পোশাক ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা আমাদের জন্য খুব কঠিন ব্যাপার,’ যোগ করেন তিনি।
    রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের স্বেচ্ছায় আসেননি এখানে। সেদেশের সেনাবাহিনী তাদের জোর করে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করেছে। তাদের খাদ্য, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবাসহ মৌলিক মানবিক সহায়তা জরুরি ছিল। আমরা তাদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দিয়েছি। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও স্থানীয় এনজিও’র সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের আমরা আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদান করছি।
    রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মহল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যথাযথ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছে। আমরা বিভিন্ন ফোরামে বলেছি এসব বাস্তুচ্যুত জনগণের ফেরত মিয়ানমার সরকারের ওপর বর্তায় এবং তাদেরকেই উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, মিয়ানমার সরকারের অনড় অবস্থানের কারণে দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি হয়নি। উপরন্তু মিয়ানমার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে এবং বলছে, বাংলাদেশের অসহযোগিতার কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হচ্ছে।
    বিশ্ব জনমত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অব্যাহতভাবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে একটি রিপোর্ট প্রেরণ করেছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার তাদের এ বিষয়ে কাজ করতে দিচ্ছে না। মিয়ানমারের অসহযোগিতা সত্ত্বেও আমরা দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক দুইটি পথই খোলা রেখেছি।