জৈন্তাপুর ১০ হাজার পিডিবি গ্রাহক:যে কোন মুহুর্তে স্থানান্তর

    0
    235

    পল্লী বিদ্যুতে সপ্তহে সরবরাহ থাকে না ১০ ঘন্টা, ভোগান্তিতে পড়বে স্থানান্তরিত গ্রাহকরা

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২৯এপ্রিল, রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট)প্রতিনিধিঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলাকে পূনাঙ্গ ভাবে পল্লী বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসায় নতুন করে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকা, ট্রান্সমিটার পরিবর্তনে বিলম্ব, লো-ভেল্টেজ সহ নানান ধরনের অসুবিধার মধ্যে পড়তে আবাসিক প্রকৌশলী জৈন্তাপুর বিদ্যুৎ সরবরাহর কেন্দ্রের ১০ হাজারের অধিক গ্রাহকদের যে কোন মুহুর্তে পল্লী বিদ্যুতের কাছে স্থানান্তর হবে।

    সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানাযায়- বিগত ৬মাস পূর্বে আবাসিক প্রকৌশলী জৈন্তাপুর বিদ্যুৎ সরবরাহর কেন্দ্রের বটেশ্বর হতে জাফলং মামার দোকান পর্যন্ত সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর আওতাভূক্ত করা হয়েছে। যাহা আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের পক্রিয়াধীন বলে একটি বিশ্বস্তসূত্র জানায়। সূত্র আরও জানায় ইতোমধ্যে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাকে পল্লী বিদ্যুৎ হস্তান্তর করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিক ভাবে আগামী সেপ্টেম্বর/অক্টোবর মাসের মধ্যে জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং মামার দোকান এরিয়াকে কে হস্তান্তর করা হবে। এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলার সচেতন মহল দাবী ১৯৮৩ সালে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের প্রায় ২শতাধিক গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরন বিভাগ যাত্রা শুরু করে।

    পরবর্তীতে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি হয়ে বর্তমান সময় পর্যন্ত ১০হাজারের অধিক সংখ্যাক বিদ্যুৎ গ্রাহক তৈরী করা হয়েছে। এমনকি পিডিপি’র বিদ্যুৎ থাকায় ক্রমান্বয়ে বৈধ ভাবে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং মামার দোকান এরিয়ায় গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ষ্টোন ক্রশিং প্লান্ট। দিন দিন পিডিবি’র গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে পিডিপির গ্রাহকের কথা বিবেচনা করে এবং জৈন্তাবাসীর দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের ফসল হিসাবে গত ১৫-১৬ অর্থ বৎসরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ এর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় প্রায় ৪শত কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন সাব ষ্টেশন চালু করা সহ লাইন উন্নয়ন ও সম্প্রসারন করা হয়।

    ফলে জৈন্তাপুর উপজেলার ১০হাজারের অধিক গ্রাহক লো-ভোল্টজ সমস্যা সহ নানান অসুবিধা হতে পরিত্রান পায় সেই সাথে জৈন্তাপুর সরবরাহ কেন্দ্রের মাধ্যমে সরকার প্রতিমাসে ১কোটি টাকার উপরে রেভিনিউ আদায় করে আসছে। এছাড়া পিডিপির অন্যান্য উপজেলার তুলনায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় মোট বিদ্যুৎ বিতরন সরবরাহ মূল্যের শতকরা ১%এর নিচে বিল বকেয়া থাকে না। যাহা বাংলাদেশের অন্য কোন সরবরাহ কেন্দ্রে নেই। ১৯৮৩সাল হতে জৈন্তাপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র দিন দিন লাভজনক হয়ে উঠেছে এবং নিরবিচ্ছিন্ন গ্রাহকসেবা দিয়ে আসছে। অতি সম্প্রতি একটি চক্রের কৌশল অবলম্বন করে পল্লী বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে যায়। যর ফলে ১০হাজারের অধিক গ্রাহকরা মারাত্বক ভোগান্তির শিকার হবে।

    জৈন্তাপুর উপজেলা পল্লী বিদ্যুত ব্যবহারকারী লামনীগ্রাম, বাউরভাগ মল্লিফৌদ, বাউরভাগ কান্দি, বাউরভাগ কাটাখাল, ভিত্রিখেল, আসামপাড়া, গুচ্ছগ্রাম, ডিবিরহাওর, কেন্দ্রি কাঠালবাড়ী সহ অন্যান্য গ্রামের গ্রাহকরা জানান- পল্লী বিদ্যুৎ এ অ লে সরবরাহ চালু করলে চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। তারা চলতি মৌসুমের সপ্তাহে ১০ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সরবরাহ পাননি। কোন কোন ক্ষেত্রে মাস ১৫দিন অতিক্রম করতে হয়। এছাড়া নানা করতে বিদ্যুৎ লাইন বিকল হলে কয়েক মাস সময় নিয়ে তারা বিদ্যুতের আলো হতে বি ত থাকতে হয়। কোন কারনে ট্রান্সফরমার বিকল হলে গ্রামবাসীর অর্থায়নে পূর্নস্থাপন করতে সময় লাগে ১হতে ২মাস। এছাড়া উৎকোচ বিড়ম্বনা লেগেই আছে।

    এবিষয়ে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানায়- সারাাদেশে সিটি কর্পোরেশন ব্যতিত অন্যান্য আ লগুলো পল্লী বিদুতের আওতায় নেওয়া হয়েছে। তারই লক্ষ্যে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাকে ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। হস্থান্তরের পর পর পিডিপি’র গ্রাহকরা ফুঁসে উঠে যার পরিপ্্েরক্ষিতে জৈন্তাপুর উপজেলার সরবরাহ ষ্টেশনটি হস্থান্তরে বিলম্ব করা হচ্ছে। সুত্রটি আরও জানায় জৈন্তাপুর উপজেলার লামনীগ্রাম, বাউরভাগ মল্লিফৌদ, বাউরভাগ কান্দি, বাউরভাগ কাটাখাল, ভিত্রিখেল, আসামপাড়া, গুচ্ছগ্রাম, ডিবিরহাওর, কেন্দ্রি কাঠালবাড়ীতে পল্লী বিদ্যুৎ চালুর পর হতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সমস্যার রয়েছে। নতুন করে পিডিপি’র ১০ হাজারের অধিক গ্রাহক সংযুক্ত করা হলে গোটা উপজেলায় ভোগান্তি হবেই। তাই এখনই গ্রাহকরা ঐক্যবদ্ধ না হলে বিদ্যুৎ বিড়ম্বনায় মধ্যে থাকতে হবে।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে জৈন্তাপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানায়- পল্লী বিদ্যুতের আওতায় জৈন্তাপুর উপজেলাকে নেওয়া হয়েছে। তবে খুব শিঘ্রই তা আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তান্তর হতে পারে বলে জানান। তিনি আরও জৈন্তাপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করে প্রতি মাসে ১কোটি টাকার উপরে রেভিনিউ জমা করছে এবং সরবরাহের শতকরা ১% নিচে বকেয়া থাকে না।