জৈন্তাপুর মাহফিল থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে শিশু গণধর্ষনের অভিযোগ

0
435
জৈন্তাপুর মাহফিল থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে শিশু গণধর্ষনের অভিযোগ

জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউপির মাদ্রাসার ১ম শ্রেনীর শিশু ধর্ষনের ঘটনায় মামলা দায়ের, অভিযান অভ্যাহত, ধর্ষক অধরা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার উপজেলার জামেয়া ইসলামীয়া দারুল হাদীছ ক্বামরুল ইসলাম মুহিউস্সুন্নাহ বাগেরখাল মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে যায় ঐ মাদ্রাসার ১ম শ্রেনীর ছাত্রী। মাহফিলের বাজার হতে উত্তর বাগেরখাল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে পাবেল মিয়া (২০), একই গ্রামের মইন উদ্দিন উরফে কুটিনা মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (২১) ছাত্রীকে মজা কিনে দিবে প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে নিয়ে মেদলের খা নামক স্থানে মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ১ম শ্রেনীর ছাত্রী কান্নাকাটি করিয়া বাড়ীতে যায় এবং বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়।

এঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ রক্তমাখা জামাকাপড় জব্দ করে এবং ভিকটিম শিশুটিকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩-৯ (৩) ধারায় গণধর্ষন করার অপরাধে সংঘটিত মামলা রেকর্ড করে যাহার নং-৫/১৯৬।

পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক আনোয়ার হোসেনের পিতা মইন উদ্দিন উরফে কুটিনা মিয়া ও পাবেল মিয়া বড় ভাই রাশেল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। ধর্ষকদের পুলিশ হেফাজতে দিবে মর্মে এবং তাদেরকে সুষ্ট বিচারের আশায় ফতেপুর ইউপি বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, মন্তাজ মেম্বার তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

এদিকে ঘটনার ৫ দিন অতিক্রম হলেও মামলা করে নিরিহ দিনমজুর পরিবারটি শিশু ধর্ষন মামলার বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। অপরদিকে ধর্ষণ মামলার আসামীরা এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে, ধর্ষণ হয়েছে কিনা তিনি জানেন না।

জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল আহমদ বলেন, শিশুটির পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি এঘটনার সুষ্ট বিচার দাবী জানাই এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারীদের দাবী জানান।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমদ, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় আসামীদের ধরতে পুলিশী অভিযান অভ্যাহত রয়েছে। আমরা ধর্ষকদের গ্রেফতারের জন্য সকল ধরনের চেষ্টা অভ্যাহত রেখেছি।