জৈন্তাপুর প্রভাবশালীর হুমকীতে বাড়ী ছাড়ল একটি পরিবার

    0
    281
    জৈন্তাপুর সিলেট প্রতিনিধি: সেন্টেল জৈন্তাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে ও কয়েকটি অনলাইন পোর্টলে সংবাদ প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সেনগ্রামের একটি প্রভাবশালী পরিবার লন্ডন প্রবাসী পরিবারের হুমকী দেয়। একপর্যায়ে বাড়ীতে গেইট ভেঙ্গে হামলার হুমকী দেয়। অব্যহত হুমকীর কারনে লন্ডন প্রবাসী পরিবারের ৩ সদস্য বৃদ্ধ মা-বাবা ও ছোট বোন জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে বসত বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়।
    অনুসন্ধানে জানাযায়, সেন্ট্রোল জৈন্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের “নবযাত্রা, উত্থানকাল ও একজন হেডস্যার” নামে সাংবাদিক এহসানুল হক জসিম ফিচার নিউজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ করেন। প্রকাশিত সংবাদে একপর্যায়ে তৎকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের কঠিন সময়ের বর্ণনা করতে গিয়ে একজন মেধাবী ছাত্র হত্যাকান্ডের প্রসঙ্গে লিখা হয়। ছাত্র হত্যার বর্ণনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার সেনগ্রামের পরস্পর আত্মীয় দুটি পরিবারের মধ্যে ভূল বোঝা বোঝিকে কেন্দ্র করে কিছুদিন হতে নানা ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষ-বিপক্ষ কথোপকথন হয়। বিষয়টি নিয়ে একপর্যায় গত ২৩ জুন মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ইন্দনে সুহেল আহমদের নেতৃত্বে কিছু সংখ্যাক লোকজন লন্ডন প্রবাসী বাড়ীতে প্রবেশ করে প্রকাশ্যে হুমকী প্রদান করে এবং ৬ ঘন্টার মধ্যে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। অন্যতায় বাড়ীর গ্রিল ভেঙ্গে প্রবাসীর বৃদ্ধ পিতা-মাতা ও বোনের হাত-পা ভেঙ্গে ফেলে দিবে বলিয়া হুমকী ধমকী দেয়। এসময় সোহেল আহমদের সহযোগীরা প্রবাসীর বাড়ীর বাহিরে অবস্থান করে।
    লন্ডন প্রবাসী আবু শাহাদৎ মোঃ সুহেল জানান, আমার চাচা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা যিনি দেশ রক্ষার জন্য মহান মুক্তিযোদ্ধের সময় সম্মুখ যুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহন করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেন। মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমার মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা আখ্যাদিয়ে সম্মান হানির অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে এবং নানান ধরনের বিভ্রান্তীকর মন্তব্য করছে। অপরদিকে আমার জন্মদাতা পিতাকে নিয়ে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে নানা ধরনের কটাক্ষ করে আসছে।
    এছাড়া আমার মামা মাষ্টার শফিকুর রহমান সব সময় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে আমার পিতাকে অশ্লিল ভাষায় গালি গালাজ করে আসছেন। তাদের নানা মূখি নির্যাতনে আমার পিতা মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারছেন না। একান্ত বাধ্য হয়ে অন্য মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে। লন্ডন প্রবাসী আরও জানান আমার পিতা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং আমার মুক্তিযোদ্ধা চাচা মাষ্টার বেলাল আহমদকে নিয়ে কুৎসা রটনা করার জন্য আমরা প্রতিবাদ করি। এই প্রতিবাদকে পারিবারিক জায়গা জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব বলে সামাজের অপপ্রচার করে প্রকৃত ঘটনা তারা আড়াল করতে চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের সাথে জমি-জমা, টাকা পয়সা নিয়ে কোন দ্বন্ধ নেই কিন্তু তারা জমি জমা নিয়ে দ্বন্ধ রয়েছে বলে অপপ্রচারে লিপ্ত। হুমকী প্রদানকারীরা আত্মীয় হওয়ার কারনে আমরা নিরব এবং লোকলজ্জার ভয়ে মান সম্মানের কারনে নিরব থাকার তারা আমাদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আমার পিতা-মাতাকে হুমকী ধমকী দিচ্ছে। বিষয়টি আমরা কর্ণপাত না করে সামাজিকতা বজায় রেখে চলাফেরা করে আসছি। সম্প্রতি সেন্ট্রোল জৈন্তাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার কারনে প্রতিপক্ষ আমাদের উপর দোষারোপ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গালি-গলাজ সহ নানা ভাবে হুমকী-ধমকী দিচ্ছে। তাতে আমরা কোন কিছু না বলার কারনে একপর্যায় মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের পরোক্ষ প্রতক্ষ্য মদদে সামাজিক ভাবে তাদের সুনাম নষ্ট করতে সোহেল আহমদ সহ ৮/১০ জনের একটি চক্র ২৩ জুন মঙ্গলবার সকাল অনুমান ৯টায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ীতে ঢুকে এবং প্রবাসীর বৃদ্ধ বাবা মোঃ আব্দুল্লাহ, বৃদ্ধ মা হাওয়ারুন নেছা এবং ছোট বোন প্রকাশ্যে হুমকী প্রদান করে। এছাড়া ৬ ঘন্টার মধ্যে আমরা বাংলাদেশে এসে সোহেলের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে হবে নতুবা তা না হলে বাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকী দেয়।
    এবিষয়ে জানতে প্রতিবেদক হুমকী প্রদানকারী সোহেল আহমদের বাড়ীতে গেলে থাকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে মাষ্টার শফিকুর রহমান এর সাথে আলাপকালে তিনি হুমকীর বিষয় শুনেছেন বলে জানান। তবে তার ছেলে এঘটনার সাথে কোন ভাবেই সম্পৃক্ত নয় বলে জানান। আপনার ছেলে লন্ডন প্রবাসীদের হুমকী ধমকী দিয়ে আসছে এমন অডিও রেকর্ডে শুনা যাচ্ছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এই বিষয়ে আমার জানা নেই।
    এব্যাপারে জানতে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক জানান, এরকম ঘটনার বিষয় আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।